সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকার নবাবগঞ্জের নিকরা চক এলাকায় অটোরিকশা ছিনতাই করে চালককে হত্যার পর বিলের কচুরিপানার নিচে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়। নিহত অটোরিকশা চালক মো. শহিদুল ইসলাম চুড়াইন ইউনিয়নের শংকরখালী গ্রামের চুন্নু মিয়া ও শিল্পী বেগমের ছেলে। সে গত ৪ মে (রোববার) সকালে বাড়ি হতে অটোরিকশা চালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফিরেনি। ওই দিন রাতে শহিদুলের বোন উর্মি আক্তার নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়রী করে।
ঘটনার ৪ দিন পর আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে ঢাকা দোহার সড়কের পাশে নিকরা বিলের পুকুরে কচুরিপানায় ঢাকা ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, অটোরিকশা চালক শহীদুল ইসলাম রোববার নিখোঁজ হলে তাঁকে পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজি করে। কোথাও সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে বোন উর্মি আক্তার নবাবগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উর্মির খালাতো বোন মমতাজ শংকরখালী ওই বাড়িতে ঘটনার বিষয়ে খবর নিতে আসে। তিনি নিজ বাড়ি দোহারে ফেরার পথে নিকরা বিলে কৃষাণদের জড়ো অবস্থায় দেখে এগিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে কচুরিপানার ভেতর থেকে বাতাসে পচা দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। এসময় উৎসক জনতা রাস্তার পাশের বিলে নেমে হাত মুখ কষ্টিপ দিয়ে বাধা অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায়। এসময় মমতাজ বেগম তার স্বজনের লাশ ভেবে শহীদুলের পরিবারকে জানায়। তাৎক্ষণিক নিহতের বাবা মা ও বোন এসে লাশটি নিখোঁজ অটোচালক শহীদুলের বলে শনাক্ত করে।
পরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে ওসি মমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় লাশ থানায় নিয়ে আসে।
নিহত শহীদুলের বোন উর্মি আক্তার বলেন, তাঁর ভাইকে অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টা করে দুবৃর্ত্তরা। দ্রæত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশের ময়নাতদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়াধীন।