বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।
পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছ লালমনিরহাট জেলা জুড়ে। তাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে ভুট্টা, ধান ও সবজির ক্ষেত আর খা খা করছে অনবাদী জমি গুলো। তবে সাধ্যমত কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে কোন রকমের ক্ষেত বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কৃষকেরা। এছাড়া পানির সংকটে ব্যাহত হতে পারে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষমাত্রা।
চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ পর্যায়ে এসেও লালমনিরহাটের কোন এলাকায় বৃষ্টির ফোটা পড়েনি। দীর্ঘ সময় বৃষ্টির অপেক্ষা করে অনেকেই কৃত্রিম পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করে পানির সংকট কমানোর চেস্টা করেছে অনেকেই। কেউ বা অপেক্ষায় থেকে তপ্ত রোদে ফসলের ক্ষেত পুরেই ফেলছেন।
সরজমিন ঘুড়ে দেখা যায়, পানির অভাবে ভুট্টা ক্ষেত যেন শুকনো খড়িতে রুপান্তরিত হয়েছে। যে সব গাছে ভুট্টা এসেছে তার মোছা শুকিয়ে দানা গুলো একেবারে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হয়ে গেছে, যেগুলো বাজারজাত বা প্রক্রিয়াজাত করার অনুপযোগী।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ভুট্টা চাষী বেলাল হোসেন জানান, তিনি তার ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন। এর মধ্যে তিন বিঘায় হালকা সেচের ব্যবস্থা করেছেন, বাকী গুলোতে করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, এমন সময় বৃষ্টি সহ কাল বৈশাখী ঝড় হয় কৃষকদের সেচ সমস্যা হয় না, যে পানির দরকার হয় তা বৃষ্টির পানিতে পুরন হয়ে যায়। কিন্তু এই সময়ে এমন খরা এর আগে কখনো চোখেই পড়েনি।
শুধু ফসল বা সবজির ক্ষেত নয়, এসময় গাছে নতুন পাতা গজানোর কথা থাকলেও প্রচন্ড তাপদাহে তা শুকিয়ে ঝড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপপরিচালক ড. মো: সাইখুল আরিফিন জানান, এসময়টা হারভেস্ট করার জন্য উপযুক্ত। তবে যেসব ক্ষেতে পানি সংকট দেখা দিবে সেসব ক্ষেতে সকাল বা বিকেল বেলা কৃত্রিম ভাবে সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এবছর জেলা জুড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে।