বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি::
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই দলের মধ্যে ‘গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রহমানের মোড় হতে কেশবপুর বাজারগামি পাঁকা রাস্তার উত্তর পার্শ্বে হামিদুল ইসলামের আম বাগানে কথিত এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তির নাম জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালু (৩৮)। সে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় ১টি অস্ত্র মামলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনেসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রহমানের মোড় হতে কেশবপুর বাজারগামি পাঁকা রাস্তার উত্তর পার্শ্বে হামিদুল ইসলামের আমবাগানে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সদর), সিনিয়র পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম ওসি মহসীন আলী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমানসহ পুলিশেল ৯জন সদস্য আহত হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালুকে উদ্ধার করে বাঘার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল,১টি ম্যাগজিনসহ ২রাউন্ড গুলি ও ৫৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এ ব্যাপারে হত্যা মামলাসহ পৃথক পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হবে।
নিহতের স্ত্রী ইসমা বেগম দাবি করেছেন, আগের দিন বুধবার রাত ১১টার দিকে কিশোরপুর এলাকা থেকে তার স্বামী ও ব্যবসায়ী পার্টনার চান্দু মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে গোকুলপুর এলাকার হাজরাপাড়া বালুর ঘাট এলাকায় গতিরোধ করে সাদা পোষাকধারি ৪জন লোকজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। তার স্বামীর মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় সোলেমান দেওয়ানের ছেলে রানা দেওয়ানের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে আরেক ব্যবসায়ী পার্টনার নজমুল সাজি সেখান থেকে মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসে।
চান্দুর মাধ্যম খবর জেনে পরের দিন তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি মহসীন বলেন, খোঁজ করে দেখেন তাকে পাওয়া যায় কিনা। খোঁজাখুজি করতে গিয়ে নিহতের খবর পান।