সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত থাকা ভারতীয় রাজ্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। একইসাথে রাজ্য দুটির সকল পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পেহেলগামে উগ্রবাদী হামলার প্রতিশোধে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরে হামলা করেছে ভারত। এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা হামলা চালাতে পারে ইসলামাবাদ। সেজন্য রাজস্থান ও পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের ছুটি। একইসাথে জনসমাগমও সীমিত করা হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাথে ১,০৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত থাকা রাজস্থানে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। একইসাথে সীমান্তে সম্পূর্ণ সিল করা হয়েছে এবং সন্দেহজনক কিছু দেখলে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় বহিরাগতদের চলাচলও সীমিত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এনডিটিভির তথ্য মতে, ভারতীয় বিমান বাহিনীও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে এবং যোধপুর, কিষাণগড় ও বিকানের বিমানবন্দর থেকে ৯ মে পর্যন্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় করা হয়েছে।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান গঙ্গানগর থেকে কচ্ছ পর্যন্ত আকাশপথে টহল দিচ্ছে। বিকানের, শ্রী গঙ্গানগর, জয়সলমীর ও বারমের জেলার সব স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে পরীক্ষাও। পুলিশ ও রেলকর্মীদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে লোকজন সরিয়ে নেয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, ভারত সরকার ড্রোন প্রতিরোধে সীমান্তে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। জয়সলমীর ও যোধপুরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট কার্যকর হয়েছে।
ব্ল্যাকআউট উন্নতগতির শত্রু বিমান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যার ফলে আক্রমণ চালানো কঠিন হয়।
পাঞ্জাবেও সব পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ও জনসমাবেশ সীমিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান সব সরকারি কর্মসূচি বাতিল করেছেন।
এদিকে, বুধবার পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে নয়টি ঘাঁটিতে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ভারত। অপারেশন সিন্দুর নামের এই হামলা পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের জবাবে চালানো হয় বলে দাবি করে নয়াদিল্লি।
তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ভারতীয় এই হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন। এরপর তিনি বলেন, পাকিস্তানের উপযুক্ত জবাব দেয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি