বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন
সীমানা ফিরলে হয়তো একসঙ্গে কাজও হতো : চঞ্চল
বিনোদন ডেস্ক : চঞ্চল চৌধুরী বলেন সীমানা ফিরলে হয়তো একসঙ্গে কাজও হতো । টানা ১৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে । গতকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোর ৬টায় হার মানলেন । জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা । অভিনেত্রীর ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য কাজ ধারাবাহিক নাটক ‘সাকিন সারিসুরি’ ও একক ‘কলেজ স্টুডেন্ট’।
দুটিতেই তাঁর সহশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী। দীর্ঘদিনের সহকর্মীকে নিয়ে স্মৃতির ডায়েরি খুলেছেন অভিনেতা ।
চঞ্চল বলেন, ‘সকাল থেকে মনটা খারাপ । আজ (গতকাল) সকাল থেকে আমি পূবাইলে চটের আগা এলাকায় শুটিং করছি ।
এখানেই বৃন্দাবন দাস রচিত সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকের শুটিং করেছিলাম, সীমানার সঙ্গে । কথাগুলো বলতে গিয়ে এখনো গুজবাম্পস হচ্ছে । বৃন্দাবন দার রচনা আর সালাহউদ্দিন লাভলুর পরিচালনায় আমরা অনেক কাজ করেছি । একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল সবার মধ্যে ।
সেই কাজের টুকরা টুকরা স্মৃতি মনে পড়ছে ।’
সীমানার সন্তানদের প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘অনেক দিন ওর সঙ্গে দেখা হয়নি । হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনেছিলাম; কিন্তু ওর যে বয়স, ভেবেছিলাম যা-ই হোক, হয়তো সুস্থ হয়ে যাবে । তা ছাড়া আমি দেশেও ছিলাম না । ছোট ছোট দুটি বাচ্চা আছে ওর ।
ওদের কথা ভেবে আরো বেশি খারাপ লাগছে ।’
সীমানার পর্দায় ফেরার প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘মাঝে সীমানা অনেক দিন কাজ করেনি । আসলে প্রত্যেক শিল্পীর তো ব্যক্তিগত জীবনও আছে । কেউ পেশাকে প্রাধান্য দেয়, আবার কেউ ঘর-সংসারকে । কোনো কারণে ওর একটা বড় গ্যাপ হয়ে গেছে । তবে খুশির (অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি) কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম, সীমানা ব্যাক করতে চেয়েছে । শুনে খুশি হয়েছিলাম । সীমানা ফিরলে হয়তো একসঙ্গে কাজও হতো । কিন্তু কিছুই হলো না । আর আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কিছু বিষয় তো আছেই । সিনিয়র অভিনয়শিল্পীদের কাজের জায়গা কমে যাচ্ছে । অথচ একজন অভিনয়শিল্পীর যত অভিজ্ঞতা হয়, তত তার কাজের পরিপক্বতা বাড়ে । সেই অভিজ্ঞতা কেন জানি আমাদের ইন্ডাস্ট্রি কাজে লাগাচ্ছে না! হ্যাঁ, বিচ্ছিন্ন কিছু উদাহরণ অবশ্যই আছে । কিন্তু সিনিয়রদের আরো বেশি সুযোগ থাকা উচিত; কারণ তাদের দেখেই তো নতুন ছেলেমেয়েরা শিখবে । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে সিনিয়রদের আক্ষেপ শুনি । খারাপ লাগে, লজ্জাও পাই । ইন্ডাস্ট্রির এই পরিবেশ কাম্য নয় ।’
গত ২০ মে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে আট দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সীমানা । অবস্থার অবনতি হলে ২৯ মে এই অভিনেত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয় । সেখানে এই অভিনেত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেন্টিলেশনে শেষ চেষ্টা হিসেবে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোরে তিনি মারা যান ।