শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও কোটায় সংস্কার আসছে। এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার যে নিয়ম ছিল সেটি সংস্কার করে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেয়া হবে। অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা না থাকলে সেসব কোটা মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
১২ নভেম্বর শুরু হবে আগামী শিক্ষাবর্ষে (২০২৫) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন আবেদন। দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ভর্তি কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যা অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইন আবেদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাউশি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শূন্য আসনের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় সরবরাহ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্যাচমেন্ট এলাকা হিসেবে ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ তিনটি থানা নির্ধারণ করতে পারবে।
আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের চাহিদাসংখ্যা কোনো শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি নির্ধারণ করা যাবে না। এই নিয়মের মধ্যে থেকেই শিক্ষার্থীরা লটারির মাধ্যমে স্বপ্নের স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে।
এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন
বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার যে নিয়ম ছিল সেটি পরিবর্তন করে বাদ দেওয়া হবে নাতি নাতনিদের কোটা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তারা জানান, স্কুলে ভর্তি হয় সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এমন বয়সী সন্তান খুবই কম। সেক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটার প্রায় পুরোটাই ফাঁকা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।