মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
স্পোর্টস রিপোর্টার:: মিরপুর শেরে বাংলার উইকেটে কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে সেটা এখনও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজও! আরও ধারণা নিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সোমবার দীর্ঘ সময় উইকেটে কাটিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। যাদের লক্ষ্য এক ম্যাচ হাতে রেখে মঙ্গলবার ২-০ তে সিরিজ নিশ্চিত করা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে জয় তুলে সিরিজে টিকে থাকতে। ম্যাচটা শুরু হবে আজ দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে। দেখাবে টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।
প্রথম ওয়ানডেতে দুই দল মিলে ৮৮.৪ ওভারে যে ৩৪০ রান তুলেছে, সেটি দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে এই উইকেট কতটা কঠিন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা নাকি বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে কিছু কৌশল শিখে ফেলেছে। যা একেবারে নিশ্চিত তা হলো-বাংলাদেশ আবারও স্পিন আক্রমণের কৌশল অবলম্বন করবে। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই ওয়ানডে স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ওই সিরিজে রাশিদ খানের পরই সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন নাসুম। তাকে সহায়তা করবেন তানভীর ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেন। রিশাদতো প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট নিয়েছেন। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজও স্পিনে শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলে যুক্ত করেছে বামহাতি স্পিন অলরাউন্ডার আকিল হোসেনকে। সঙ্গে বামহাতি পেসার র্যামন সাইমন্ডসকেও যুক্ত করেছে।
তার পরেও ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তুলেছে মাত্র ২০৭ রান। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন কেবল তাওহীদ হৃদয়। নতুন মুখ মাহিদুল ইসলামও ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু পুরো ইনিংসজুড়েই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছিল মন্থর গতি। ডট বলের সংখ্যা ছিল বেশি, বাউন্ডারি ছিল কম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজও ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে চাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে ১৩৩ রানেই অলআউট হয়েছিল তারা। স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন ব্র্যান্ডন কিং ও আলিক আথানেজ। কিন্তু দুজনেই ফাঁদে পড়েন রিশাদের। এরপর শুরু হয় ধস। অভিজ্ঞ শাই হোপ বা রোস্টন চেজও তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
এই অবস্থায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচে রাখতে হলে আবারও ভূমিকা রাখতে হবে বোলারদের। জেইডেন সিলস নিয়েছেন তিন উইকেট। পাঁচ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা খ্যারি পিয়েরে ভালো বোলিং করলেও কেবল একটি উইকেট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মিরপুরের স্পিনবান্ধব কন্ডিশনে মূল দায়িত্ব নিতে হবে রোস্টন চেজ ও গুডাকেশ মোটিকে।
সব মিলিয়ে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে এখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজই এগিয়ে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক সাফল্যে ব্যবধানটা অনেকটাই কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৪৮ বার- এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ২৪ ম্যাচ, আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২২টি। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। অর্থাৎ জয়-পরাজয়ের ব্যবধান এখন মাত্র ২ ম্যাচের।