মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এটি পূর্ণকালীন কাজ। কত লোকবল লাগবে, কোন সংস্থা কিভাবে কাজ করবে, কোথায় তথ্যের উৎপত্তি হচ্ছে এবং সঠিক তথ্য কীভাবে দ্রুত পৌঁছানো যাবে- এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সুপারিশ প্রয়োজন। শুধু একটি গাইডলাইন নয়, চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত ‘ইন্টিগ্রেশন অব আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইন আপকামিং ন্যাশনাল পার্লামেন্ট ইলেকশন টু কাউন্টার মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, এআইয়ের অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা অনেক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পরিকল্পনা রয়েছে মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন মোকাবেলায় একটি কেন্দ্রীয় সেল গঠনের। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে, প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা দুর্গম এলাকা থেকে যদি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, তা দ্রুত রোধে কিভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর মধ্যে সঠিক তথ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে- তা বিবেচনায় নিতে হবে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সম্ভাব্য অপব্যবহারকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভুল তথ্য, কুতথ্য ও অপতথ্য রোধে সমন্বিত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। এজন্য কারিগরি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট সুপারিশ চায় নির্বাচন কমিশন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এক জরিপে দেখা গেছে, এআই প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে বিশ্বের ৯২ শতাংশ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তাই অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে এআই অপব্যবহার রোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন এনটিএমসি, এমআইএসটি, বিটিআরসি, সিআইডি, আইসিটি বিভাগ, আইএফইএস, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বেসিস, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কারিগরি কর্মকর্তারা।