শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন

রুয়েটের বাসচালক হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

রাজশাহী প্রতিনিধি:: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালামকে (৫০) হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত চার আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- মহানগরীর মতিহার থানার বাজেকাজলা মহল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন, একই এলাকার ভাড়াটিয়া দিলদার আলীর ছেলে নূর নবী হোসেন ওরফে হৃদয়, কাজলা বিলপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সানোয়ার হোসেন ওরফে সাইমুন ওরফে এসএম সায়েম এবং কাজলার মৃত ইসহাক আলীর ছেলে সোহেল রানা ওরফে সোহেল।

আসামিদের মধ্যে নূর নবীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ আমজীবন গ্রামে। আর সোহেল রানার বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুরিয়া গ্রামে। সোহেল রুয়েটের দৈনিক মজুরিভিত্তিক নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। সোহেলই ছিলেন এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলায় আরও দুজন কিশোর আসামি আছে। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য চার আসামির বিচার শেষ হলো। এ রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ রায়ে তিনি খুশি বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

একটি মারামারির ঘটনা মীমাংসা না হওয়ার জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েটসংলগ্ন অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে রাস্তার ওপর বাসচালক আবদুস সালামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। সালামের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরের দিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মহানগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার চার দিন পর এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়। ওই কিশোর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয়।

পরে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিলেন। অন্য দুই কিশোর আসামির বিচার চলছে শিশু আদালতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com