শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
মো. বিপ্লব, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:: তিন দফা ন্যায্য দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মসূচি।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. ২০% বাড়ি ভাতা প্রদান,
২. ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা,
৩. ৭৫% উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন।
কর্মসূচির শুরুতে শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা উপজেলা পরিষদ চত্বর পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এরপর তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করতে চাইলে সেনাবাহিনী বাঁধা দেয়। তবে শিক্ষকেরা পিছু না হটে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যান।
সমাবেশে রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তব্য রাখেন- রাণীশংকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাসিস আহ্বায়ক সোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাহিদুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নুর আলিফ, পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলী, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. মিজানুর রহমান মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী, বিটিএ’র সভাপতি মো. বাবর আলী, পদমপুর কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, মীর নাসেরিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন, মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জুলফিকার আলী, বাসিস কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, এবিএস এম কামরুল হুদা, সহকারী শিক্ষক মো. ফেরদৌস আলম মানিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমাদের জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে উঠেছে।” তাঁরা আরও বলেন, “আজকের মধ্যে যদি সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে আমাদের তিন দফা দাবি না মানে, তবে আগামীকাল থেকে এক দফা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।”
শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে শিক্ষক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনাগুলোরও তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি তোলেন।
সমাবেশে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগরদের দাবির প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সব দল ও শ্রেণিপেশার মানুষকে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।