বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ৯ নাম্বার এলাকা থেকে রবিবার সকালে রিপন নামের এক ট্রাক চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ট্রাক চালকের মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য। কেউ বলছে হত্যা কেউ বলছে আত্মহত্যা। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় মল্লিকবাড়ি মধ্যপাড়ার আছমত আলী ওরফে নিধু মিয়ার ছেলে ড্রাম ট্রাকচালক রিপন মিয়া (২৮) বাড়ি থেকে বের হয়। মধ্যরাতে বাড়ির পাশে নুরু মিয়ার মুদি দোকানের সামনে সড়কের উপর পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশি মহিউদ্দিনের ছেলে তারা মিয়ার (৪০) নেতৃত্বে, কতিপয় লোক রিপনের উপর অর্তকিত হামলা করে। এতে রিপন মিয়ার মাথা, নাক ও মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রিপন হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চলে আসেন এবং রাত গভীর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিতে বিলম্ভ হয়। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে রাতেই তিনি মারা যান।
নিহতের স্ত্রী জনিফা আক্তার জানান, তার স্বামী সন্ধ্যারাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে গভীর রাতে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে আসেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়ি আনতে গেলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি বাড়িতেই মারা যান। তিনি জানান, প্রতিবেশি তারা মিয়া ও জামাল তার স্বামীকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখমের পর তিনি মারা যান।
মল্লিকবাড়ী ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, আমি থানার দারগার কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখি রিপনের নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ পরে আছে। রাতে এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহামুদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা তারপরও তদন্ত করার পর বলা যাবে। তবে রাতে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রির্পোট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
সহকারী পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) মাহফুজা আক্তার জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। প্রাথমিক ভাবে বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা। আমরা অধিকতর তদন্তের পর বলতে পারবো। রাতে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে মারামারি হয়েছে সেখানে তার লাশ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটিত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে আমরা মামলা নেব তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।