বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
ভালুকা ময়মনসিংহ:: ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও’র আদেশকে উপেক্ষা করে এক সপ্তাহ যাবৎ জাল ও তারের বেড়া দিয়ে সাংবাদিকের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে প্রভাবশালী একটি মহল। যার কারণে ৬টি পরিবার গৃহবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। মোফাজ্জল হোসেন খান গং, রয়েল খান গং ও শামীম মিয়া নামে তিন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাস্তাটি বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের বাদেপুরড়া গ্রামে সাংবাদিক আবুল বাশার শেখের বাড়িতে চলাচলের জন্য একটি মাটির রাস্তা স্থানে স্থানে উচু করে মাটি ফেলে তার মাঝখানে খড়ের পুঞ্জি ও জাল ও তারের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ৩ মার্চ একটি লিখিত আবেদন করেছেন দৈনিক আমার সংবাদ ভালুকা প্রতিনিধি ও ভালুকা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আবুল বাশার শেখ।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক ভিটায় শত বছরের উপরে বসবাস করা পরিবারটির বাড়ী হতে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক লোক চলাচল করে। একই গ্রামের মৃত মজলিস খানের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন খান গং, মৃত নূরুল ইসলাম খানের ২য় ছেলে রয়েল খান গং ও মৃত হামেদ আলী শেখের ছেলে শামীম মিয়া অবৈধভাবে মাটি ফেলে তার মাঝখানে খড়ের পুঞ্জি ও জাল ও তারের বেড়া দিয়ে দীর্ঘদিনের এই জনচলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় সাংবাদিকের বাড়ীর লোকজন বাড়ী থেকে বের হতে পারতেছেনা। একমাত্র রাস্তাটি ২০১৬ সালে আমার প্রতিবেশী মৃত নূরুল ইসলাম খানের ২য় ছেলে রয়েল খান গং ও মৃত মজলিস খানের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন খান গং গোষ্ঠীর লোকজন নিয়ে কিছুদিন বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখে। রাস্তা বন্ধের বিষয়টি এলাকার সবাইকে জানানো হয়। ঐ সময় বিষয়টি নিয়ে ৪নং ধীতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আশরাফুল আলমের কাছে গ্রাম আদালতে বিচার প্রার্থী হলে চেয়ারম্যান একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে উনার লিখিত প্রতিবেদন দিয়ে দেন।
প্রতিবেশী আঃ মালেক জানান, সাংবাদিকের পরিবার প্রায় ১০০ বছর ধরে ওই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছে। হঠাৎ গত ২৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিবেশী মোফাজ্জল হোসেন খান গং, রয়েল খান গং ও শামীম মিয়া রাস্তাটির স্থানে স্থানে উচু করে মাটি ফেলে রাস্তাটি বন্ধ করে। গত শনিবার (৬জুন) খড়ের পুঞ্জি ও জাল ও তারের বেড়া দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। এলাকায় তারা প্রভাবশালীা হওয়ায় পরিবারগুলো কিছুই করতে পাচ্ছে না।
অবরুদ্ধ একটি পরিবারের সদস্য কামাল উদ্দিন শেখ বলেন, তারা আমাদের জমিতে জবর দখল করে ঘর নির্মাণ করতে চাইলে আমরা তাতে বাধা দিই কিন্তু তারা তা মানেনি তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিলে তারা হিংসার বশবতি হয়ে আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রায় একশ বছরের পুরোনো রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এলাকায় তারা প্রভাবশালী হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সামান্য কারণেই তারা রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। অচথ এই রাস্তাটি আমার বাপ দাদার সম্পত্তিতে।
এ বিষয়ে রবিবার (৭জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাস্তাটি খোলে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালীরা রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছে।