বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

বাঘা থেকে বিদেশে আম রপ্তানি শুরু, প্রথম চালান যাচ্ছে ইংল্যান্ড-হংকং

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:: এবছর রাজশাহীর বাঘার আমের প্রথম চালান যাচ্ছে ইংল্যান্ড-হংকং। বিদেশে আমের রপ্তানি শুরু করেছে লি: এন্টারপ্রাইজ ও মাহাতাব এন্টারপ্রাইজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাঘা উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জেলার বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া থেকে ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর আম ইংল্যান্ড ও হংকং এ পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে ১ মেঃটন যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও হাফ মেঃটন (৫০০ কেজি) যাচ্ছে হংকং। এতে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট উপজেলার আম চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস।

বুধবার (১ জুন) কৃষি অধিদপ্তরের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর( পিডি) তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি ও উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান বিদেশে আম রপ্তানির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় আমচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

কনট্রাক্ট ফার্মার এসোসিয়শনের সভাপতি ও সাদি এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারি,উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের সফল আমচাষি শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন,লি এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ১ মেঃটন ও মাহাতাব এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ৫০০ কেজি (হাফ মেঃটন) ক্ষিরসাপাত/হিমসাগর আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে ওই দুই দেশে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ বছর টার্গেট রয়েছে দেড় থেকে দুইশত মেঃটন। প্রশিক্ষন নেওয়া ২৫ জন আম চাষি আম সরবারহ করবেন। কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তর থেকে আম রক্ষণা-বেক্ষনের জন্য তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। চাষিরা বিদেশ আম পাঠাতে পারলে আরও উৎসাহিত হবেন। এতে করে দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের কৃষিবিদ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, আম রফতানির জন্য উপজেলার ২৫ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত আম ঢাকায় বিএসটিআই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর পরে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।

তিনি বলেন, আম চাষ কঠিন হলেও আমে যাতে কোনো ধরনের পোকার আক্রমণ না ঘটে এজন্য এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষ শুরু করেছেন। এতে খরচ বাড়লেও একদিকে আমের গুণগত মান বাড়ছে অন্যদিকে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও আম কিনছেন। রাজশাহীর বাঘা-চারঘাটের আমের খ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় বাঘা-চারঘাটে সবচেয়ে গুনগতমানের বেশি আম উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার আম এখন আরও উন্নত পদ্ধতিতে উৎপাদন হচ্ছে বলেই দেশের সীমাবদ্ধ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তরের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর( পিডি) তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি বলেন,কৃষকদের আয় বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। দেশের আম বিদেশে যাচ্ছে, এতে করে ভালো লাগছে। এটা কৃষি মন্ত্রনালয়ের বিরাট সাকসেস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com