মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন

বড় বোনের বর্ণনায় আঁকা হলো ছোট বোনের দুই খুনীর স্কেচ, হত্যাকারীদের খুঁজছে পুলিশ

ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর পরশুরামে বড় বোনের দেয়া বিবরণ শুনে শুক্রবার (১৫ মার্চ) উম্মে সালমা লামিয়ার (৭) চাঞ্চল্যকর হত্যাকারীর সন্দেহভাজন দুই যুবকের স্কেচ আঁকা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে দেশের সব থানায় দুই যুবকের আঁকা স্কেচ পাঠানো হয়েছে। এদিকে লামিয়া হত্যাকাণ্ডের একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হত্যারহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে লামিয়ার হাত-মুখ-পা কসটেপ দিয়ে বেঁধে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পাশের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনার পর থেকে নিহা পুলিশকে জানিয়ে আসছেন লামিয়াকে দুই যুবক হত্যা করেছে। হত্যার সাথে জড়িত দুইজনকে তিনি ইতোপূর্বে পরশুরামে দেখেছেন।

শুক্রবার দিনব্যাপী সময় নিয়ে বড় বোন নিহার কাছ থেকে ছোটবোনকে হত্যায় জড়িত দুই যুবকের বিবরণ শুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ থেকে পাস করা এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে স্কেচ করানো হয়।
এদিকে লামিয়া হত্যার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার মূল রহস্য এখনো উদঘাটিত হয়নি। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসাবে লামিয়ার মা আয়েশা আক্তার জেলহাজতে রয়েছেন।

ঘটনার সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া লামিয়ার বড় বোন ঘটনার একমাত্র প্রত্যাক্ষদর্শী নিহার দেয়া তথ্যে হত্যাকারী দুই যুবক এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

হত্যার ঘটনায় পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে লামিয়ার মা আয়েশা আক্তারকে পুলিশ দুই দফা পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। লামিয়াকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত মা আয়েশা ফেনী কারাগারেই আছেন।

পরশুরামে ঘটনার দিন নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে পরশুরাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত লামিয়ার বাবা মামলার বাদী মো. নুরুন্নবী বলেন, তিনি নিয়মিত ভাবে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রাখছেন তবে পুলিশ তাকে আশ্বস্ত করেছেন শিগগিরই লামিয়া হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসাইন খান বলেন, ঘটনার একমাত্র প্রত্যাক্ষদর্শী নিহার কাছ থেকে বিবরণ শুনে স্কেচ করানো হয়েছে। আঁকা স্কেচ ইতোমধ্যে দেশের সব থানায় পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, পুলিশ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচন করে মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com