রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
এস এম আলমগীর কবির, নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইলের লোহাগড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পুলিশ কনস্টেবল এবং চাকরিচ্যুত সেনা ও নৌ সদস্যসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে উপজেলার আলা মুন্সির মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত ৭টি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- সাতক্ষীরার সদর থানাধীন কটিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্য ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের আব্দুল মালেকের ছেলে ইজাজ আহম্মেদ (৩৩), নড়াইলের লোহাগড়ার চাকুরিচ্যূত নৌ বাহিনী সদস্য ও কাজী দিদারুল আলমের ছেলে কাজী অমিত (২৮) এবং যশোরের ঝিকরগাছার চাকুরিচ্যূত সেনাবাহিনী সদস্য ও মোসলেম আরীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৩)।
এছাড়াও অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইলের লোহাগড়ার আসাদ মোল্যার ছেলে তনু মোল্যা (৩৩), যশোরের ঝিকরগাছার শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম রেজা (২৩) ও মৃত জিয়াউর রহমানের ছেলে শাওন রহমান (২৮), গোপালগঞ্জ কাশিয়ানির ফিরোজ হোসেনের ছেলে আল আমিন (৩২) ও কালা মিয়া শেখের ছেলে মোখলেস শেখ (৪০) এবং ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ওলিয়ার রহমানের মাসুদ রানা (৩০)।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের টহল চলাকালীন উপজেলার আলা মুন্সির মোড় এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ দল নজরে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। এসময় তাদের ব্যাগে তল্লাশি করে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেলের খোলা নাম্বার প্লেট, একটি পুলিশের কোটি, রড, হাতুড়ি, দাসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম পায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলেই আরও একটি হাতকড়াসহ পেপার কাটার ও তাদের ব্যবহৃত ৭টি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করায় অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাবাদ করে ও পুলিশের সার্ভার পর্যালোচনায় অমিত কাজী, শামীম রেজা, আল আমিন ও মোকলেস এর রিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি, দস্যুতা, অস্ত্র, মাদকসহ স্পর্শকাতর মামলার সন্ধান পায় পুলিশ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অভিযুক্তদের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাতেনাতে আটক করা হয়। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর জন্যে যশোর, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ ও নড়াইলের সংঘবদ্ধ দলটি একত্রিত হয়েছিল। মোখলেস ও আল আমিনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।