বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোরে নোয়াখালী পৌরসভার বসুন্ধরা কলোনি কচি ডাক্তারের বাসায় দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান শুভ (২০) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে ও তামান্না ইসলাম পিনু (১৬) পৌর এলাকার লিটনের মেয়ে। স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও সম্পর্কে তারা খালাতো ভাই-বোন ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খালাতো ভাই-বোন প্রেম করে গত এক বছর আগে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনিতে শাশুড়ির বাসায় থাকতেন শুভ। ওই বাসায় নিহত তামান্নার মা ও ভাই থাকতেন। সোমবার সকালে তাদের কক্ষ থেকে শুভ ও তামান্নার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন তামান্নার ভাই হোসেন আহমেদ নোমান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা-পুলিশ তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করেন। পরে নিজে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী শুভ প্রথমে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা করে নিজে ফ্যনের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে।