বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইলের কালিয়ায় পুকুর থেকে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয়রা উপজেলার নড়াগাতী থানাধীন শিবানন্দপুর গ্রামে এঘটনা ঘেট।
নিহতরা হলো- তাসলিমা খানম (১৫) ও তার ভাই কাওসার শেখ (৮)। নিহত তাসলিমা খানম উপজেলার বড়দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং কাওসার শিবানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। তারা ওই গ্রামের কৃষক আজিবার শেখ ও বেবি বেগমের সন্তান। মায়ের দাবি, সন্তানদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, যদিও পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে প্রতিবেশী নাহার বেগম দুই ভাই-বোনকে দাউদ মীরের বাড়ির পেছনের পুকুরের দিকে যেতে দেখেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন। পরে পুকুর পাড়ে তাসলিমার ওড়না দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুকুরের পানিতে নেমে দুই ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তবে ঘটনাটি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে অভিযোগ করেছেন নিহতদের মা বেবি বেগম। তিনি বলেন, আমার মেয়ে সাঁতার জানে, তারা ডুবে মরতে পারে না। প্রায় নয় মাস আগে স্বামী ও তার ভাইয়েরা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে কির। আমার ধারণা, পরিকল্পিতভাবে সন্তানদের হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, নিহতদের বাবা আজিবার শেখ দাবি করেন, আমার ছেলে-মেয়ে কেউ সাঁতার জানতো না। গোসল করতে গিয়ে তারা ডুবে মারা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলার নড়াগাতী থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তখন পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।