রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড’ গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রোমে আইএফএডির প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক:: বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, নারী, কৃষক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত ব্যক্তিদের সহায়তায় ‘সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম-এর সাইডলাইনে, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরোণ, আম ও কাঁঠালের রপ্তানি বাড়ানো, জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগ প্রসার এবং মহিষের দুধ থেকে দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সহায়তার মতো কৌশলগত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস আইএফএডির প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কৃষি, সামাজিক ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণে একটি দল পাঠানোর আহ্বান জানান।

এ সময় আইএফএডির প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও বলেন, আইএফএডি বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগগুলোকে সমর্থন দিতে এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। আইএফএডি বাংলাদেশে অর্ধ ডজনেরও বেশি কৃষি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশের ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ, কোল্ড স্টোরেজ, গুদাম এবং আম-কাঁঠালের বৃহৎ পরিসরের রপ্তানির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে আম রপ্তানি শুরু করেছি। তবে এর পরিমাণ এখনো কম। চীন বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ আম ও কাঁঠাল আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারিদা আখতার জানান, বাংলাদেশের নারী দুগ্ধ খামারিরা মহিষের দুধ থেকে মোজারেলা চিজ তৈরি করছেন। তিনি এই উদ্যোগ সম্প্রসারণে আইএফএডির সহায়তা কামনা করেন।

বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্র মৎস্য খাতের অনাবিষ্কৃত সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশি জেলেরা এখনো অগভীর পানিতেই সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা এখনো গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে সাহস পাই না। আইএফএডি এই খাতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে।

১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ শুরু করার পর আইএফএডি মোট ৩৭টি প্রকল্পে অংশীদার হয়েছে, যার সম্মিলিত মূল্য ৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ১.১৩ বিলিয়ন ডলার সরাসরি আইএফএডি অর্থায়ন করেছে। এখন দেশে ৪১২ মিলিয়ন ডলারের ছয়টি প্রকল্প চলমান এবং আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস গতকাল বিকেলে রোমে পৌঁছান বিশ্ব খাদ্য ফোরামে যোগ দিতে। তিনি ফোরামের মূল অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com