বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কৃষ্ণচূড়ার মতোই রাধাচূড়া ফুল তার উজ্জ্বল রঙে কুমিল্লার গোমতী নদীর পাড় আলোকিত করে তুলেছে। এ ফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন স্থানীয়রাসহ ফুলপ্রেমী ও গোমতী পাড় দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
রাধাচূড়া ফুল দেখতে অনেকটা কৃষ্ণচূড়ার মতোই। এ ফুল কৃষ্ণচূড়া ফুল থেকে আকারে কিছুটা ছোট। এটিকে কেউ কেউ ছোট কৃষ্ণচূড়া ফুলও বলে। রাধাচূড়া ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এর মধ্যে এ দেশে লাল, হলুদ ও কমলা রঙের ফুল বেশি দেখা যায়। কৃষ্ণচূড়ার মতোই এ ফুল মানুষকে আকৃষ্ট করে এর লোভনীয় সৌন্দর্যে। রাধাচূড়া ফুল তার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়ে পরিবেশকে মনোরম করে তোলে।
জানা গেছে, রাধাচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম সিসালপিনিয়া পালচেরিমা। এটি ফ্যাবাসিয়া পরিবারের সিসালপিনিয়া গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এর আদি নিবাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ব্যাপক সৌন্দর্যের কারণে রাধাচূড়া এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় অনেক দেশেই দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম খোকন বলেন, এ ফুলের প্রকৃত নাম জানা নেই। তবে এ ফুল দেখতে অনেকটা কৃষ্ণচূড়ার মতো। আসা-যাওয়ার পথে এ ফুলের সৌন্দর্য আমাদের আকৃষ্ট করে। কৃষ্ণচূড়া সাময়িক সময়ের জন্য ফুটলেও এ ফুল দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে মনোরঞ্জন দেয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফারজানা বাহার বলেন, রাধাচূড়া ভিনদেশি ফুল হলেও এ দেশে এটি বেশ পরিচিত ও সমাদৃত। বিশেষ করে এ ফুল অনেকটা কৃষ্ণচূড়ার মতো হওয়ায় অনেকেই এটিকে কৃষ্ণচূড়া বলে ভুল করে। এ ফুলের রঙময় সৌন্দর্যে যে কেউ সহজেই আকৃষ্ট হয়। গোমতী পাড়ের রাধাচূড়ার সৌন্দর্য আসা-যাওয়ার পথে উপভোগ করি।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, রাধাচূড়া মূলত একটি বিদেশি গাছ। তবে এ গাছ এই দেশেও এখন সৌন্দর্যবর্ধনের কারণে জায়গা করে নিয়েছে। এ গাছের কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে লাল ফুলের রাধাচূড়া। বিশেষ করে সড়কের পাশে এ গাছ থাকলে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।