মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:: ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। দেড় দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে ‘পুষ্পা’ সিনেমার আইটেম গানে নেচে মাত করার ব্যাপারটি ছিল লক্ষ্যণীয়। ৩৮ বছরের সামান্থা খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অর্থ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। কিন্তু নিজের এই অবস্থান তৈরি করতে সংগ্রামও করেছেন এই অভিনেত্রী। কয়েক দিন আগে এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিবার ও তার সংগ্রামের গল্প খানিকটা শুনিয়েছেন সামান্থা।
সামান্থা রুথ প্রভু বলেন, এটা একটা সংগ্রাম ছিল। আমার কিছুই ছিল না; আমি খুব সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছি। খাবার জোগাতে আমার পরিবারকে লড়াই করতে হয়েছে। নাম, খ্যাতি, সম্পদ, করতালি এসবের সঙ্গে নিজেকে কীভাবে মানিয়ে নেব, তা জানতাম না। আসল সত্তা আসলে আপনার বেড়ে ওঠার যোগফল। আপনি যদি সেই বেড়ে ওঠার সঙ্গে ভারসাম্যে না থাকেন, তাহলে সেটা আপনাকে গভীর অস্থিরতায় ফেলতে পারে।
ক্যারিয়ারে বড় সাফল্য অর্জন করার পরও সামান্থার সরল স্বীকারোক্তি। তার ভাষায়, আমি যে পরিপূর্ণতা আশা করেছিলাম, তা পাইনি; যতক্ষণ না নিজের এই খ্যাতিকে অন্যদের জন্য মূল্য তৈরির কাজে দৃশ্যমান ফলাফল না পেয়েছি।
সফলতা পাওয়ার পরও শীর্ষে থাকার অহমবোধের অনুভূতি হয়নি সামান্থার। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ওই রকম সাফল্যের পর আমার মনে পৃথিবীর শীর্ষে থাকার অনুভূতি জাগানো উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি। আমি যখন বুঝতে পারলাম, আমার এই ভিজিভিলিটি দিয়ে অন্যের জন্য মূল্য তৈরি করা যায়, তখনই আমি আমার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাই। এই প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আপনি কী করেন, সেটাই আসল কথা।
১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল তামিল নাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা। তার বাবা জোসেফ প্রভু, মা নাইনেট। সামান্থার বাবা জোসেফ প্রভু তেলেগু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। আর তার মা নাইনেট সিরিয়ান মালায়ালি। সামান্থা ছাড়াও এ দম্পতির আরো দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মারা যান জোসেফ।
স্নাতকে পড়ার শেষ দিকে মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সামান্থা। মডেলিং করতে গিয়ে পরিচালক রবি ভার্মার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ২০১০ সালে ‘ইয়ে মায়া চেসাভে’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন সামান্থা রুথ প্রভু। প্রথম সিনেমায় সামান্থার নায়ক ছিলেন নাগা চৈতন্য। পরবর্তীতে নাগার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেবল তাই নয়, ঘরও বাঁধেন এই যুগল। যদিও এ সংসার টিকেনি। তারপর আর বিয়ে করেননি এই অভিনেত্রী।
বিয়েবিচ্ছেদের পর সামান্থা মানসিকভাবে আহত হয়ে পড়েছিলেন। তার মাঝে মায়োসাইটিস নামে এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন। এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন, তারপরও কাজে ফিরেছেন সামান্থা। জীবনের লড়াইটা একাই করছেন এই অভিনেত্রী।