মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

অটোরিকশার লোভে বন্ধুকে হত্যা, ঘাতক বন্ধু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:: একটি অটোরিকশার লোভে বন্ধুকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে যায় আরেক বন্ধু। এঘটনায় হত্যার মূলহোতা বন্ধু সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে দোহার থানা পুলিশ।

সোমবার রাত ৭টার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলার নিকড়া বিল এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত অজ্ঞাত এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত একটি লাশ উদ্ধার করার অভিনয় করে নিজেরই বন্ধু সোহাগ।

বন্ধু ইয়াছিনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে সোহাগ নামের বন্ধু নাটক সাজিয়ে তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশের সন্দেহ হলে তাঁকে (সোহাগ) আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সব তথ্য বেরিয়ে আসে।

পুলিশের কাছে দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, সোহাগ ও ইয়াছিন রাজধানীর জুরাইনে এক সাথে থাকতো। তবে ইয়াছিনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর থানায়। জুরাইনে থাকার সময় তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। পরে সোহাগ কিছু দিন আগে দোহারের খাড়াকান্দা এক গ্যারেজে কাজ নেয়। গত রোববার সোহাগ জুরাইনে বন্ধু ইয়াছিনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে রাত যাপন করে। এরপর সোমবার দুপুরে ইয়াছিনের নতুন অটোরিকশা নিয়ে দোহারের উদ্দেশ্যে বের হয়। সাথে ইয়াছিনও ছিলো। সন্ধ্যার সময় নিকরা এলাকার বিলের কাছে রাস্তার পাশে গাড়ী রেখে সোহাগ ইয়াছিনকে নেশা পান করায়। এরপর গলায় ও মুখে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পর বন্ধুকে সেই অটোরিকশায় তুলে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন (২২)কে মৃত ঘোষনা করে।

খবর পেয়ে দোহার থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সোহাগের কাছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে।

সোহাগ পুলিশকে জানায়, সে রিকশা নিয়ে জয়পাড়া আসার পথে একজন লোককে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সে মারা যায়। এসময় সোহাগের কথাবার্তায় অসংলগ্ন মনে হলে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে লাশের সুরতহাল শেষে আজ সকাল ১০টায় ময়নাতদন্তের জন্য মিটর্ফোড হাসপাতালে প্রেরণ করে দোহার থানা পুলিশ।

পরে ঘটনার স্বীকারোক্তিতে বিস্তারিত জেনে পুলিশ সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় পুলিশ সোহাগকে আদালতে প্রেরণ করে এ ঘটনায় নিহত ইয়াছিনের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।

দোহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আলী বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com