সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, একুশের কণ্ঠ:: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এখন রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, বল এখন রাশিয়ার কোর্টে। মস্কো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় কি না, সেটা দেখেই বোঝা যাবে, তারা শান্তি চায় কি না।
রাশিয়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে অমান্য করলে ‘কঠোর’ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজে স্থানীয় সময় বুধবার আইরিশ প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
ট্রাম্প বলেন, এখন এটি (যুদ্ধবিরতি) রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে, তবে উভয় পক্ষের সাথেই আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা বিষয়টি দেখব। আমরা যখন এই কথা বলছি তখন মার্কিন প্রতিনিধিরা (আলোচনার জন্য) এখন রাশিয়ায় যাচ্ছে। এবং আশা করি, আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতির সম্মতি আদায় করতে পারব। এবং যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে আমি মনে করি এই ভয়াবহ রক্তপাতের অবসান ঘটানোর জন্য ৮০ শতাংশ পথ পাড়ি দেওয়া হবে।
ট্রাম্প আরো বলেন, যদি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে রাশিয়ার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক শাস্তি আরোপ করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি এমন কিছু করতে পারি যা আর্থিকভাবে রাশিয়ার জন্য খুবই খারাপ হবে। আমি তা করতে চাই না, কারণ আমি শান্তি পেতে চাই।
যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। মার্কিন প্রতিনিধি দল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে রাশিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।