বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলছে নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন। এছাড়াও মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে দোকান-পাট, হাট-বাজার। বাড়ছে যানজট, বাড়ছে ভোগান্তি।ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কেগুলোতে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। আইন অমান্য করে মহাসড়কে চলছে সিএনজি অটোরিকশাসহ ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। মহাসড়ক দখল করে নিয়মিত হয়েছে দোকান,হাট-বাজার, বাস কাউন্টারসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। এতে করে অরক্ষিত এ মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে র্দুঘটনা। বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। অর্থনীতির লাইফ লাইন খ্যাত এ মহাসড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। কাঞ্চন সেতু এ মহাসড়কের বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে । র্দীঘ লাইনে যানজটে আটকা পড়ছে হাজারো যানবাহন। এতে কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, বাড়ছে ভোগান্তি।সরকারী হিসাবেই এ মহাসড়কে যানজটের কারনে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে কমপক্ষে ২৭৪ কোটি টাকা। দেশের অন্যান্য সড়ক মহাসড়কগুলোর মতো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কেও উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে সিএনজি,অটোরিকশা,ভটভটি নসিমন করিমনের মত অবৈধ যানবাহন। নতুন করে যুক্ত হয়েছে মোটরচালিত রিকশা। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগায় এসব নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করেলেও রহস্যজনক কারনে তারা নীরব। তাছাড়া উল্টো পথেও গাড়ি চলছে। এগুলো প্রতিরোধে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের নূন্যতম ভূমিকা চোখে পড়ে না বলে অভিযোগ করেছেন সড়কে চলাচলকারী সাধারণ জনগন। ভুক্তভোগিদের মতে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। এসব দ্রুতগতির গাড়ির সাথে সিএনজি অটোরিকশায় পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে ঘটছে ভয়াবহ র্দুঘটনা।অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কে চলাচলের জন্য প্রতি সিএনজি অটোরিকশাকে মাসে ৬০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এই টাকা আদায় করা হয় অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে। চাঁদা দেয়ার পর চালকদের একটি টোকেন দেয়া হয়। ওই টোকেন দেখালে পুলিশ আর কিছু বলে না । চাঁদা না দিয়ে মহাসড়কে কেউ অটোরিকশা চালাতে পারে না। সে জন্যই এ ব্যবস্থা বলে জানায় চালকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের এক সদস্য জানান, তাদের সমিতির আওতায় ১শ অটোরিকশা রয়েছে। এ জন্য সর্তক থাকতে সমিতির লোক মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ ফিটনেসবিহীন এ যানবাহন প্রতিনিয়তই মারাত্মক র্দুঘটনায় পতিত হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের উপর যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মত ব্যস্ততম সড়কে বেড়েছে ভুয়া লাইসেন্সধারী চালকদের দৌরাত্ম্য। কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়,ওস্তাদরাই প্রশিক্ষণ দিয়ে চালক তৈরী করছেন ব্যস্ত রাজপথে। অভিযোগ জানা গেছে,রেকার অফিসার ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আসিক বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সিএনজি,অটোরিক্সা আটক করে পুলিশ ল্যাইন ঢুকানোর ভয় দেখিয়ে গোলাকান্দাইল পুলিশ বক্স এর সামনে নিয়ে উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেয়। বিশেষ করে গোলাকান্দাইল চত্বের পয়েন্ট হচ্ছে অবৈধ ফায়দা হাসিলের মূল কেন্দ্র। সমপ্রতি ট্রাফিকের রেকার বানিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। যে কোন গাড়ি আটকের পর গাড়ির চালক দিয়ে গাড়িটি চালিয়ে গোলাকান্দাইল কেন্দ্রে নেওয়া হলেও গাড়ি ছাড়ার সময় অবৈধভাবে রেকার বিল নেয়া হয়। আর এসব রেকার বিল সরকারী কোষাগারেও জমা হয় না এমনটা দাবী চালকদের। এছাড়া প্রাইভেট কার বা মাইক্রো রিকুইজেশনের উপর হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও রিকুইজেশনের নাম করে অবৈধ ভাবে আটক করা হচ্ছে। গোলাকান্দাইলে থ্রি হুইলার দিয়ে পুলিশ বক্সের গলায় মালা হয়ে আছে। বক্স এর পাশেই অবৈধ থ্রি হুইলার ষ্টান থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে কোন অভিযান হয়নি বলে অভিযোগ দুরের চালক দের। এবেপারে কথা হলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্ বলেন,শুধু শুধু নিউজ করে কি হবে প্রতিক্রিয়া পাবেন না। আপনের চেয়ে বড় সাংবাদিক আছে নিউজ করে কিছুই হবে না।