বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি॥ রূপগঞ্জে অর্ধশতাধিক ডাইং কারখানা অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে। এসকল কারখানাগুলোর গ্যাস ব্যবহারে প্রতিরোধ করার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। স্থানীয় নেতাদের মাসে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ২৯টি ডাইং কারখানায় এই গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার। এতে করে তিতাস গ্যাস কোম্পানী হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদের কারখানায় গ্যাস ব্যবহারের ফলে ঐ সকল এলাকায় আবাসিক লাইনে পড়ছে গ্যাস সংকট।
ডাইং কারখানাগুলি উপজেলার, কুমারটেক, আধুরীয়া, মাহনা, কেশরাব ও মঠখোলা এলাকায়। ব্যবহারকারীরা কুমারটেক এলাকার বাদশা মেম্বার, আলম, আলী আহমেদের ছেলে রবিউল, বাতেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন, আরজু মিয়ার ছেলে সফিক, সিদ্দিকের ছেলে তোবারক, শাহ জাহানের ছেলে রুহুল আমিন, সোনা মিয়া ছেলে হারুন, আব্দুল মতিনের ছেলে দেলোয়ার, কুটু মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া, কেশরাব এলাকার দীন ইসলাম, বাবুল, মকবুল, নাসু মিয়া, মঠখোলা এলাকার সবুজ মিয়া, মাহনা এলাকার শাহিন, রফিক, মোবারক আধুরীয়া এলাকার রাসেল মিয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশকে মাসে মাসে টাকা দিয়েই এসকল কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এদের অবৈধ সংযোগকারীরা গ্যাস ব্যবহার করে তিতাসের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে ধারনা করেন এলাকাবাসী। এসকল ডাইং কারখানায় গ্যাস ব্যবহারের ফলে গ্যাস সংকটে পড়ছে আবাসিক লাইনের গ্রাহক। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে ডাইং কারখানার মালিক। স্থানীয়দের অভিযোগ গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ গ্যাস বন্ধের কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসন সংবাদ পেয়েও তারা নিরব ভুমিকায়।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউসন কোম্পানীর কর্তব্যরত কর্তাব্যক্তিরা বলের ডাইং কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টির বিষয় কোন লিখিত অভিযোগ নেই। তবে যারা অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ বলছে এগুলো বন্ধ করতে গ্যাস কতৃপক্ষকে সোচ্চার হতে হবে।