সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

মানুষ কখন ‘ফাইট মোড’-এ চলে যায়

মানুষ কখন ‘ফাইট মোড’-এ চলে যায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক:: সব ধরনের সম্পর্কই আমাদের ভালো থাকা, না থাকায় ভূমিকা রাখে। সঙ্গী, বন্ধু, আত্মীয়, সহকর্মী কিংবা পরিচিতজনের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক তার প্রভাব আমরা এড়াতে পারি না।

মনোবিদরা বলেন, সম্পর্ক ভালো না থাকলে মানুষ ‘ফাইট মোডে’ থাকে না হয় ‘ফ্লাইট মোডে’ থাকে। ফলে মানুষ অতি প্রতিক্রিয়াশীল অথবা অতি হতাশাবাদী হয়ে পড়ে। প্রতিদিন আমাদের অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। কেউ আমাদের অল্প পরিচিত, কেউ বেশি পরিচিত। কারও সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক আবার কারও সঙ্গে অগভীর সম্পর্ক। এই সব সম্পর্কের প্রভাবই আমাদের বয়ে বেড়াতে হয়।

প্রতিটি সম্পর্কের প্রভাব আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে। সকালে রিক্সাওয়ালার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হওয়ার প্রভাব এক রকম আবার তার সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাসি খুশিভাবে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার প্রভাব আরেক রকম। চায়ের দোকানে বসে চা পান করতে করতে অপরিচিত কারও সঙ্গে হাসি বিনিয়ম করার প্রভাব একরকম। আবার ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়ার প্রভাব আরেক রকম।

হ্যাপি মোড

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোন নেতিবাচক সম্পর্ক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমরা এক ধরনের অস্থিরতা অনুভব করি। ইতিবাচক সম্পর্ক হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় ফলে আমরা নিজেদেরকে সুখী ভাবতে শুরু করি।

মার্কিন মনোবিদ রবার্ট ওয়ালডিঙ্গার বলেছেন, ‘হাজারো জীবনকে কাছ থেকে দেখার পর আরও ৩০ বছর আগে থেকে উপলব্ধি করতে শুরু করেছি, সুসম্পর্কের সঙ্গে সুন্দর জীবন কিংবা ভালো থাকার একটা যোগসূত্র আছে। দেখেছি যে, শুধু সুসম্পর্কের কারণেও মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে, মস্তিষ্ক আরও চৌকস হয়। যারা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে জানেন, তারা দ্রুত রোগ থেকে সেরে উঠতে পারেন।’

নেতিবাচক সম্পর্কগুলোর প্রভাবও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক।

রবার্ট ওয়ালডিঙ্গার আরও বলেছেন, ‘যাদের কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই, তারা চাপ সামাল দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তারা হয় ‘ফাইট মোড’ নয়তো ‘ফ্লাইট মোড’-এ থাকেন।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com