সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

মানিলন্ডারিং মামলায় পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড

মানিলন্ডারিং মামলায় পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: মানিলন্ডারিং মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত ও আলোচিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেনের আদালত এ রায় দেন। পাশাপাশি পাপিয়াকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলায় পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।

মামলার তদন্তে উঠে আসে, রাজনীতি ও প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একটি অপরাধ চক্র। ঢাকার একাধিক হোটেলে চলতো অবৈধ কর্মকাণ্ড যেখানে ছিল অস্ত্র, মাদক এবং বিপুল অর্থ লেনদেন।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক হন শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া এবং তার স্বামী সুমনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকবই, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় অর্থপাচার মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অর্থপাচার মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। পরের বছরের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com