বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি, দোহারঃ সমাজের একজন শিক্ষক ও ন্যায় বিচারকের নির্মম হত্যার বিচার দাবিতে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ঢাকার দোহারের সর্বস্তরের মানুষ।
শুক্রবার সকাল ১১টায় বিএনপি নেতা ও স্কুল শিক্ষক হারুনুর-রশিদ ওরফে হারুন মাষ্টার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করে এলাকাবাসী। নয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাহ্রাঘাট এলাকায় এ কর্মসূচী পালিত হয়।
শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলার নয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাহ্রাঘাট এলাকার প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তার দুই পাশে হাজারো নারী পুরুষ ব্যানার ফেষ্টুন ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয়। বাহ্রাঘাটের যাত্রী ছাউনির পাশে খোলা ট্রাকে মঞ্চ তৈরী করে চলে প্রতিবাদ সভা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টারের বাড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন নীতিবান ও প্রতিবাদী শিক্ষককে এভাবে হত্যার মাধ্যমে নয়াবাড়ীসহ দোহারের মানুষকে আতংকিত করেছে। গত ১০দিনেও এ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দোহার থানার এস আই জুবায়দুল হক মঞ্চে এসে এক বক্তব্যে বলেন, খুব কাছাকছি সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে চেষ্টা চলছে।
এসময় নিহতের ভাই ও মামলার বাদী আব্দুল মান্নান বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশ গতিশীলতা হারিয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ সিসি ক্যামেরায় যাদের ছবি প্রকাশ হয়েছে তাঁদেরকেও পুলিশ চিহ্নিত করতে পারেনি। পুলিশের অভিযানকে ঢিলেঢালা বলে দাবি করেন মামলার বাদী। ভাইয়ের প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। এসময় নিহতের স্ত্রী নাহিদা আক্তার, কন্যা সাবিহা আক্তারসহ হারুন মাষ্টারের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলো। এছাড়া নয়াবাড়ী ইউনিয়নের অসংখ্য নারীপুরুষ, বৃদ্ধ তরুণ তরুণী ছাত্র শিক্ষক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকসহ বিপুল পরিমাণ মানষের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা নুর ইসলাম বেপারি, নজরুল ইসলাম (মেছের),খন্দকার শাহিন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর বেপারি, আব্দুল আলীম (নবাব), ইব্রাহীম তালুকদার, আল মিরাজ, ইলামদ্দিন মিয়া, আউয়াল আকন্দ, ডা. আলা উদ্দিন, ভিপি সোয়েম প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ২ জুলাই নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুনুর রশিদ (হারুন মাষ্টার) সকালে নদীর পাড়ে হাঁটতে বের হলে মোটর সাইকেল আরোহী তিন যুবক তাঁকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় বিএনপির দলীয় কোন্দল ও পদ্মার বালু ব্যবসার দ্ব›েদ্বর কারণে হারুন মাষ্টার পরিকল্পিকভাবে খুন হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।