মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা ও বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে দেশটিতে ফের পাঠাল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট থেকে কর্ণফুলী জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্য, চারজন সেনা সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্যসহ মোট ২৮৮ জনকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ২৮৮ জনকে হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটের কাছে বিজিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। পরে কোস্টগার্ডদের একটি জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজ চিন ডুইনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে বিআইডাব্লিউটিএ ঘাট ত্যাগ করে।’
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর ৬০০ জনের বেশি সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশে আশ্রয় দেয় বিজিবি। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে যে কর্ণফুলী জাহাজে করে মিয়ানমারের সেনাসহ ২৮৮ জনকে দেশটিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার এই জাহাজে করেই মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফেরেন ১৭৩ বাংলাদেশি। বুধবার তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে চিন ও রাখাইন রাজ্যের অন্তত নয়টি শহর দখলে নিয়েছে জান্তাবিরোধীরা।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে জান্তাবিরোধী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বা বিজিপি’র সংঘর্ষ শুরু হয়। সেসময় বিদ্রোহীরা জান্তা বাহিনীর দখলে থাকা সীমান্ত চৌকিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। আর আরাকান আর্মির অভিযানের তীব্রতায় টিকতে না পেরে বাংলাদেশ পালিয়ে আসেন বিজিপি সদস্যরা। এরপর থেকে প্রায়ই প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন বিজিপি সদস্যরা।