বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাফিউল আলম ও এ এস আই তাজুলের বিরুদ্ধে ১৮ লক্ষ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে মাদক বিক্রেতা মাসুদকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানায়, গত শুক্রবার (৩ আগষ্ট) বন্দর থেকে মাদক বিক্রেতা পারুল ও তার ভাই ফারুককে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই সাফিউল আলম ও এএসআই তাজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্সগন। ওই অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পরে বাসা থেকে নগদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাদের দুই ভাই-বোনকে শর্ত দেয় যদি কাউকে মালসহ ধরিয়ে দিতে পারিস তাহলে তোদেরকে ছেড়ে দেব। দারোগার কথা মত পারুল ও তার ভাই ফারুক শ্যামপুর থানাধীন আলমবাগ এলাকার মাদক বিক্রেতা মাসুদ ও তার স্ত্রী রেখার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে অভিযান চালালে তাদের বাসা থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পায় এস আই শাফিউল আলম ও এ এস আই তাজুল। ধৃতদের নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে এসে ২ দিন আটকে রাখে। পরবর্তীতে গত রোববার তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে আরও ৫ লক্ষ টাকা নেয় সাফিউলের টিম। পরে কয়েক দফায় মোট ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে মাসুদকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ৩ জন অর্থাৎ পারুল,ফারুক ও রেখাকে ৮শ’ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা রুজু করা হয়। এবং আদালতে প্রেরন করা হয়।
সচেতন মহলের দাবী, মাদক নির্মূলে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া হুশিয়ার পরেও পুলিশ কিভাবে অপকর্ম করতে সাহস পায়। মাদক বিক্রেতাকে ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে ওই দারোগা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে। তার মত দারোগাকে এখনই চাকুরিচ্যুত করে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিৎ।
ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাফিউল আলম জানায়, পারুল ও তার ভাই ফারুককে গ্রেফতার করি। তাদের তথ্যমতে মাসুদ ও তার স্ত্রী রেখাকে গ্রেফতার করি। মাসুদের নিকট থেকে কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ৩ জনকে ৮শ’ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেই। তবে কোন টাকার লেনদেন হয়নি।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নাই। ওসির স্যারের সাথে কথা বলেন।