বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঢাকার দোহারের চর মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল মৃধা। প্রথম বিয়ের পর স্ত্রী চলে যায়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের তিন বছর পর ওই এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমি কিনে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে বাড়ি করেন। জমিটি নিজ নামে ও স্ত্রী শাহেদা বেগম, শ্যালক শেখ শহিদ এবং শালিকা শাহিনুর আক্তারের নামে রেজিস্ট্রি করেন। বিয়ের পর থেকে সুন্দর ও গুছানো সংসার ভালোই চলছিল। একযুগ পর ধীরে ধীরে সাংসারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ফাটল ধরতে শুরু করে।
স্ত্রী শাহেদা বেগম প্রবাসে চলে যায়। এপর থেকে ধীরে ধীরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তোফাজ্জলের সাথে। গেল আড়াই বছর ধরে সাংসার জীবনে নানা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তোফাজ্জলকে। প্রবাস থেকে ফিরে এরই মধ্যে গেল বছর স্ত্রী শাহেদা বেগম তাকে ডিফোর্স দিয়েছেন। আবার ডিফোর্সের পর বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা দিয়েছেন।
তোফাজ্জল অভিযোগ করে বলেন, আমি ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করি। বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে দীর্ঘ পনেরো বছর সংসারের পর ডিফোর্স দিয়েছেন স্ত্রী। এমনকি নানা অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোফাজ্জলের। তিনি আরও বলেন, আমি দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার স্ত্রী’র বাবা, বোন, ভাইসহ সাবাই আমার এখানে থাকতো। দীর্ঘ বছর এখানেই তারা বসবাস করেছেন।
যে কোন বিপদ আপদে আমি তাদের পাশে থেকেছি। অথচো স্ত্রী শাহেদা প্রবাস থেকে ফিরেই কোন কারন ছাড়াই আমাকে ডিফোর্স দিয়ে বাড়িতে পুলিশ নিয়ে আসে। তোফাজ্জলের আরও অভিযোগ, আমি ইটভাটায় কাজ , ট্রলার চালানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করে ৩৩ শতাংশ জমি কিনে আমার স্ত্রী ও তার স্বজনদের নামে রেজিস্ট্রি করেছিলাম। এমনকি সুন্দর করে সংসারটা গুছিয়ে ছিলাম। আজ আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন স্ত্রী।
আমি এর সঠিক বিচার চাই। এসব বিষয়ে জানতে ও বক্তব্য নিতে ‘মামলার বাদী তোফাজ্জলের স্ত্রী শাহেদা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার সংযোগ দিলেও রিসিভ করেনি।
অন্যদিকে ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয়ের আর্থিক সহায়তায় সংসার চলতো। উভয়ের মধ্যে সাংসারিক ভুল বুঝাবুঝি হলে, মামলার বিবাদী তোফাজ্জল সাংসারিক প্রয়োজনে ঋণগ্রস্থ হলে তার নামে থাকা ৮.২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।