রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আলোচিত বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যার ঘটনায় জিহাদ চোকদার (২০) নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঘটনায় এজাহার নামীয় একজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার জিহাদ নবাবগঞ্জ উপজেলার নতুন বান্দুরা এলাকার স্বপন চোকদারের ছেলে। হত্যাকান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১৪জুলাই) সন্ধ্যায় নতুন বান্দুরা এলাকা হতে তাঁকে আটক করা হয়।
হত্যাকান্ডে জড়িত ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি জিহাদ চোকদারকে আটক ও তাঁর নিকট হতে মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়ে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে হারুন মাষ্টার হত্যা মামলায় জিহাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এএসপি আশরাফুল আলম বলেন, আটকের পর জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এছাড়া পুলিশকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। আসামী জিহাদ ও তাঁর সহযোগীরা মিলে তিন মাস আগেও হারুন মাষ্টারকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
জিহাদের দেয়া ভাষ্যমতে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় তার মোটরসাইকেল দিয়ে খুনিরা ঘটনাস্থল রেকি করে। সর্বশেষ এই হত্যাকান্ড ঘটায়। মঙ্গলবার বিকেলে জিহাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। হারুন মাষ্টার হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ দিকে মহসীন নামে গ্রেপ্তার হওয়া আসামী নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির পদধারী সাবেক এক নেতার মূল নির্দেশনায় হারুন মাষ্টারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে আরো বলেছেন, ভাড়াটিয়া খুনিরা হারুন মাষ্টারকে খুন করেছে। তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পরিকল্পনাকারীর নাম প্রকাশ করছে না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জুবায়দুল হক বলেন, মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই খুনের সব রহস্য বের হয়ে আসবে। শীঘ্রই ভালো খবর পাবেন।
উল্লেখ্য, গত ২জুলাই সকাল ৬টায় দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এবং বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ(হারুন মাষ্টার) কে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর শরীরে ৪টি গুলি ও তিনটি কোপের চিহ্ন ছিলো। এ ঘটনায় নিহত হারুন মাষ্টারের ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দোহার থানায় বিএনপি নেতাসহ ৭জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।