বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকার দোহার উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গরীব অসহায় রোগীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রতারণাপূর্বক কৌশলে রোগীদের পার্শ্ববর্তী বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থানান্তর, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মো. আজাদ শেখ(৫২) ও মো. সেলিম শেখ(৪৬) নামে দুই ব্যক্তিকে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২১ এপ্রিল) দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধ ও দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন খান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা পেতে বিভিন্ন বিভাগে লোকবলের যথেষ্ঠ কমতি থাকায় রোগী ও অভিভাবকের মাঝে ওয়ার্ড বয়, নার্স ও ডাক্তারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং সরকারি হাসপাতালে যেসব সেবা পাওয়ার কথা ঔষধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী যথাযথ পরিবেষণ করা হয় না। এতে প্রতিনিয়ত রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, রোববার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধ ও দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে দালাল চক্রের ২ সদস্য হাতে নাতে ধরা পড়ে। তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে গরীব অসহায় রোগীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, প্রতারণাপূর্বক কৌশলে রোগীদের পার্শ্ববর্তী নিজেদের এবং কিছু কিছু ডাক্তারের পছন্দের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থানান্তর, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে দণ্ডবিধি- ১৮৬০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত মো. আজাদ শেখ ও মো. সেলিম শেখ নামের দুই প্রত্যেককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানকালে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও দোহার থানা পুলিশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেন।
দোহার উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন খান বলেন, জনস্বার্থে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের নির্বিঘ্নে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা এবং দালালদের দৌরাত্ম্য নির্মূলে দোহার উপজেলায় ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান ও মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।