বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন

চিরিরবন্দরে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রল, আতঙ্কে এলাকাবাসী

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি::

অনুমোদিত পেট্রলপাম্প ছাড়া অন্য কোথাও পেট্রল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান না থাকলেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে নীতিমালা ভঙ্গ করে যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে পেট্রল ও গ্যাস সিলিন্ডার। এসব দাহ্য পদার্থ যত্রতত্র বিক্রির ফলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে উপজেলা শহর টিএন্ডটি মোড়, মহিলা কলেজ মোড়, ঘুঘুরাতলি বাজার, মুদির দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে পেট্রল ও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে। উপজেলা শহরের বাইরে নশরতপুর ইউনিয়নের রানীরবন্দর বাসস্ট্যান্ড আউলিয়াপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ মোড়, কারেন্ট হাট বাজার, আব্দুলপুর ইউনিয়নের হাজির মোড়, বেলতলি বাজারসহ উপজেলার প্রত্যেক বাজারে মুদি ও রকমারি দোকানে দাহ্য পদার্থ পেট্রলের পাশাপাশি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে চিরিরবন্দর মহিলা কলেজ মোড়ের ক্রোকারিজ দোকানের মালিক মোরশেদ আলম জুন বলেন, তিনি কেবল ইউনিয়ন পরিষদে দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেছেন। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে লাইসেন্সের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এমনকি এ বিষয়ে কোনো গ্যাস কোম্পানির লোকজন তাকে কোনদিন কিছু বলেননি। তার দোকানে দুটি গ্যাস কোম্পানির ১৬টি গ্যাস সিলিন্ডার আছে। চিরিরবন্দর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা করলে অবশ্যই তাকে লাইসেন্স নিতে হবে। নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে। সড়কের ধারে সাজিয়ে রেখে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা খুবই বিপদজনক। এ ছাড়া যত্রতত্র পেট্রল বা দাহ্য পদার্থ বিক্রির কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, সাধারণত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দশটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এর অধিক হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com