রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

চিরিরবন্দরে কালভার্টের সামনে টিনের বাড়ি নির্মান করায় দুই’শ একর ফসলি জমি পানির নিচে

দেলোয়ার হোসেন বাদশা, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি::

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত কালভার্টের সামনে মাটি ভরাট করে একরাতেই টিনের বাড়ি তৈরী করায় প্রায় দুই’শ একর আবাদি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ৫’শ পরিবার পানি বন্দি হয়ে চরম দূর্ভোগে জীবন যাপন করছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার কৃষক ও স্থানীয়রা সমাধান চেয়ে গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদনপত্র চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছে।

আবেদনপত্র সূত্রে ও সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামের খামার পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের পূত্র রবিউল আলম সরকার ও একই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পূত্র আজাহার আলী ও তার ছোট ভাই সোহেল রানা বাবু বর্ষা মৌসুমের পানি নিষ্কাসিত হওয়ার জন্য একমাত্র কালভার্টের সামনে মাটি ভরাট করে একরাতেই লোকজন লাগিয়ে টিনের বাড়ি তৈরী করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করেছে। এতে ওই এলাকার বাসুদেবপুর, জয়দেবপুর, শ্যামনগর গ্রামের প্রায় দুই’শ একর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে” পানিবন্দি হয়েছে ১ হাজার মানুষ। এছাড়া ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পুকুর প্লাবিত হয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে ওই এলাকায় চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ ১০ থেকে ১৫টি রাস্তা বেশিরভাগ সময় পানি ও কাঁদা জমে থাকছে।

ভুক্তভোগী বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের আলম বলেন, জুন মাসের শেষের দিকে তারা ওই টিনের বাড়িটি তৈরী করার ফলে কোন কৃষক আমন ধান লাগাতে পারেনি। এতে আর্থিক ভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

বানিয়াপাড়া, প্রামানিক পাড়া, মৌলভীপাড়া, জয়দেবপুরের হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদের,আবু তাহের, মকছেদ আলী, রমজান আলীসহ অনেকে বলেন, বাসুদেবপুর শ্যামনগর ও জয়দেবপুর হয়ে দুই’শ একর জমির পানি ও ৫ শতাধিক বাড়ির পানি ওই কালভার্ট দিয়ে নিস্কাসিত হতো কিন্তু বর্তমানে কালভার্টটি বন্ধ করায় আমন ধান চাষ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকছে।

টিনের বাড়ির মালিক আজাহার আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বাড়িটি আমার ছোট ভাই সোহেল রানা বাবু কিছুদিন আগেই তৈরী করেছে। তবে পানি নিষ্কাশনের রাস্তা এখানে অনেক আগে থেকেই বন্ধ আছে। বর্ষা পানি বেশী হলে আমাদের কি করার আছে।

এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দীকা বলেন, অভিযোগের পেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com