শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:: মহেশখালীর এলএনজি (তরলীকৃত ন্যাচারাল গ্যাস) টার্মিনালে সরবরাহের এফএসআরইউয়ের (ফ্লোটিং স্টোরেজ রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট) কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে পুনরায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কেজিডিসিএল সূত্র জানিয়েছে, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে রাত ১০টা ১২ মিনিটে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে। তবে চট্টগ্রামের বাসা-বাড়িতে গ্যাস পেতে আরও কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে।

এদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কেজিডিসিএল মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, ‘রাত ১০টায় মোটামুটি একটু ভালো পরিস্থিতি হতে পারে। গ্যাস সরবরাহ লাইনে পুরোপুরি ঢুকতে পারে। আর ১২টার ভেতরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়।’

এর আগে এলএনজি টার্মিনালের ত্রুটির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডও (কেজিডিসিএল) তাদের ওয়েবসাইটে একই বিষয়টি জানিয়েছে।

মূলত চট্টগ্রাম অঞ্চলে কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এই দুটি টার্মিনালের একটির নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি, অন্যটি নির্মাণ করেছে সামিট গ্রুপ।

কেজিডিসিএল জানিয়েছে, দুই টার্মিনালের মধ্যে এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি ১ নভেম্বর থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল। ওই টার্মিনালটি বিচ্ছিন্ন করে সেসময় সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল সংস্কার করতে। সেটি কয়েকদিন আগে দেশে আনা হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহের জন্য যুক্ত করার পর সামিটের টার্মিনালটি খুলে নেওয়া হয়। সংস্কারের জন্য সেটিও সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা রয়েছে। কিন্তু সরবরাহ চালুর পর এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে এই টার্মিনাল থেকেও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।

কেজিডিসিএলের মোট গ্রাহক সংযোগ রয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টি। এরমধ্যে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১ টি গৃহস্থালি সংযোগ ও বাকিগুলো বাণিজ্যিক। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা থেকে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। এখন গ্যাস না থাকায় এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com