রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াখালী-সোনাবাজু বেড়িবাধ ও ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ইছামতি নদী পরিদর্শন শেষে তিনি বেড়িবাধের সংযোগস্থলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ¯øুইসগেট স্থাপন হলে নদীটি সচল হবে বলে মনে করেন। এ বিষয়ে তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ইছামতিকে সচল করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন।
তিনি বলেন, ইছামতি নদীকে কেন্দ্র করেই এই অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। নদীটি ছিল কৃষিপণ্য পরিবহনের প্রধান নৌরুট ও জেলেদের জীবিকার উৎস। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখানে ¯øুইসগেট না করেই বেড়িবাধ নির্মাণ করা হয়েছে, ফলে বর্ষাকালেও নদীতে প্রয়োজনীয় পানি থাকছে না। এতে করে মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, বিগত সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বাঁশের বেড়া দিয়ে মাছ চাষ করা হয়েছে। এমনকি জেলেদের নদীতে নামতেও দেওয়া হয়নি। এই অবস্থা আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। আর কাউকে নদী দখল করতে দেব না।
খাল বিল ও নদী ভরাট করে দখলের বিধিনিষেধ থাকলেও তা কার্যকর নেই। তবে পদ্মার সাথে ইছামতির সংযোগে ¯øুইসগেট না থাকায় নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, কচুরিপানায় ভরে উঠেছে। এই কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে নদীটি একেবারে হারিয়ে যাবে।
আর কাউকে নদী দখল করতে দেব না—ব্যারিস্টার নজরুল
এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ সদর থানা জামায়াতের আমীর ও ঢাকা জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ইব্রাহিম খলিল, নবাবগঞ্জ পশ্চিমের সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদসহ জামায়াত ও শিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে দোহার ও নবাবগঞ্জে ইছামতি নদীর কচুরিপানা পরিস্কার ও মশা নিধন কার্যক্রমে অংশ নেয়।