মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিকল্পিত ভাবে সেনা সদস্যদের হত্যা করে আওয়ামী লীগ : আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে আধিপত্যবাদী শক্তির ছত্রছায়ায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কবলে পরে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শাহাদাৎ বরণ করেন। তাঁদের স্মরণে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয় সেনা হত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান বক্তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০২৪’র ৫ আগস্টের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আধিপত্য প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠার তান্ডবের মাধ্যমে এদেশের আধিপত্যবাদী শক্তি শেকড় গেড়ে বসে। এরপর নির্বাচনের পরেই ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের নির্মম ও পৈশাচিক ভাবে হত্যা করা হয়। শাপলা চত্বর, মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে জামায়াত নেতাদের হত্যা করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় স্বপ্ন দেখিয়েছিল আধিপত্যবাদী শক্তি। কিন্তু ২০২৪’র আবু সাঈদ-মুগ্ধরা তাদের সে স্বপ্ন বাস্তব হতে দেয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ও আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ হোসেন বলেন, ১৯৪৭ এর ভারত বিভক্তির পথ থেকে আধিপত্যবাদী শক্তি ভারত পরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র করে এর চূড়ান্ত সফলতা পায় তাদের দোসর শেখ মুজিবের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর। এরপর শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের উপর ভারতীয় আধিপত্যবাদের চরম থাবা। শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর তার মেয়ে হাসিনাকে দিয়ে তারা এদেশে তাদের আধিপত্যবাদ বজায় রাখার জন্য নানানভাবে পরিকল্পনা করে। ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানায় ভারতের পরিকল্পনায় শেখ হাসিনা দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের হত্যা করে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে। মানবতাবিরোধী অপরাধের তথাকথিত বিচারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের এজেন্ডা ছিল। এটিও বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা জামাতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করে। ভারতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এখনো পর্যন্ত জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারারুদ্ধ অবস্থায় আছে। অনতিবিলম্বে এই নেতার মুক্তির জোর দাবি জানাই।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করিম, নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী আহসানুল্লাহ শামীম, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (বরখাস্ত) মুহসিনুল করিম, দ্যা ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার ডিন ড. আবু হানিফ খান, জাস্টিস পার্টির আবুল কাশেম মজুমদার, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মশিউর রহমান ফারুক প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com