শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন
ই-কণ্ঠ ডেস্ক রিপোর্ট:: রমনা থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একই মামলায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিনতে তিন দিনের এবং ৩৫ জনের দুই দিনের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে।
বুধবার রমনা থানার ওই মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীসহ তিন জনকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় শাগবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও দুই মামলায় ১৮ জন নেতাকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন একই বিচারক।
এদিকে রমনা থানার আরেক মামলায় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকনকেও তিনদিনের রিমান্ডে দেযা হয়েছে। অন্যদিকে চকবাজার থানার বিএনপি নেতা শফিক উদ্দিন আহম্মেদ জুয়েলের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন একই আদালত।
প্রিজন ভ্যানে হামলা মামলায় রমনা থানার ইন্সপেক্টর সফিকুল ইসলাম আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেও রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলেন। তবে আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শিহাব উদ্দিন, সালমা হাই টুনি শুনানি করেন। আসামিপক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, ইকবাল হোসেন প্রমুখ গয়েশ্বরের জামিনের আবেদন করেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীসহ তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শাহবাগ থানায় দুটি মামলা এবং রমনা থানাধীন পরিবাগ এলাকায় নাশকাতার অভিযোগে রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। রাতেই গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে এবং দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তার শান্তিনগরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যারা রিমান্ডে:
রমনা থানার দুই দিনের রিমান্ডে যাওয়া ৩৫ জন আসামি হলেন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, মহিলা দলের সাবেক সভাপতি পেয়ারা সোস্তফা, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহানা সুলতানা আরজু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের নেত্রী শারমিন আক্তার মুন্নি, চকুয়া থানা বিএনপির সদস্য মোজাম্মেল হক লিটন, মো. আলম, মো. ইমরান মিয়া, শেরেবাংলানগর থানার ২৮ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সদস্য সালাহ উদ্দিন, রামপুরা থানার কৃষক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরিশ, তুরাগ থানার বিএনপির কর্মী কবির হোসেন, খোকন সরকার, ছাত্রদল সদস্য ইমরান হোসেন, শ্রমিক দল সদস্য রফিকুল ইসলাম মনু, ছাত্রদল সদস্য ফাইজুল ইসলাম নোমান, বিএনপি কর্মী মো. শরিফ, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা বিএনটির সদস্য সাইফুল হক, পল্টন থানা বিএনপি নেতা গাজী হাবিব হাসান, পল্লবী থানা বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান, উত্তরা পূর্ব থানার বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ আলম, চকবাজার থানার বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহ নূর, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইসমাইল তালুকদার খোকন, কামরাঙ্গীরচর থানার শ্রমিক দলের আহ্বয়ক জসিম মিয়া, শ্রমিক নেতা আমজাদ হোসেন (৩০), কামরাঙ্গচর থানা শ্রমিক দলের সদস্য আলম মিয়া, রাজনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ, ঢাকা মহানগর ছাত্র দল পশ্চিমের সদস্য মো. মানা, উত্তরা পূর্ব থানার বিএনপির সদস্য মাহবুব খান, উক্তরা পূর্ব থানার শ্রমিক দলের সদস্য সুজন মিয়া, বংশাল থানা ছাত্রদল নেতা সৈকত রহমান, ছাত্রদল কর্মী নাঈম হোসেন, চকুয়া থানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন, ছাত্রদল সদস্য নুবয়াত আল মাহামুদ ইনু, চকুয়া থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজ আহমেদ ও ওয়ারি থানা বিএনপি কর্মী মীর মাহামুদুর রহমান।