মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

সেলাই প্রশিক্ষনে ঘুরে দাড়িয়েছে বাঘার চরাঞ্চলের নারিরা

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহী বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে ঘুরে দাড়িয়েছে নারিরা। চরের ৬০ জন নারি এনজিও থেকে সেলাই প্রশিক্ষন নিয়ে এখন নিজেরাই তৈরি করছেন, বাচ্চাদেরসহ নারি-পুরুষের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক। তাদের তৈরি পোষাক পাইকারিভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে। গুনগত মান সন্তোষজনক হওয়ায় এর চাহিদা বৃদ্ধি পা্েচ্ছ দিনদিন। তাই ঈদ সামনে রেখে এসব নারি দর্জিরা এখন পোষাক তৈরিতে আরো ব্যস্ত সময় পার করছেন। মার্কেটে কেনা কাটার অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে থান বা গজ কাপড় কিনে বাহারি পোষাক বানাতে দিয়েছেন গ্রামের এসব দর্জির কাছে।
সরেজমিন শুক্রবার (০৩-৬-১৮) উপজেলার দাদপুর ও পলাশিফতেপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কথা বলা তো দুরের কথা এদিক সেদিক তাকানোর সময় যেন নেই তাদের। এর মাঝে পলাশি ফতেপুর সমিতির খাদিজা ও সুমাইয়া জানান, চরাঞ্চলের নারিরা সেলাই কাজে আগে তেমন পারদর্শি ছিলনা। সাংসারিক কাজের ফাঁকে এনজিওর মাধমে প্রশিক্ষন নিয়ে এখন নিজেরাই বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক তৈরি করছেন। গড়ে প্রতিটি পোষাক তৈরির মজুরি পান ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। প্রতিদিন ছোট-বড় মিলে ২০ থেকে ২৫ টি পোষাক তৈরি করতে পারেন। সংসারের কাজ সামাল দিয়ে বাড়তি আয়ে এসব কাজ করছেণ তারা।

দাদপুর সমিতির সভানেত্রী রিক্তা বেগম বলেন, দুর্গম চরাঞ্চলের পলাশি ফতেপুর ও দাদপুর এলাকার ৬০ জন নারিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে’র দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও সামাজিকদায়বদ্ধ তহবিলের অর্থায়নে সেলাই কাজ বিষয়ে প্রশিক্ষন দেন, নদী ও জীবন-২ প্রকল্প। সেই প্রশিক্ষনকে কাজে লাগিয়ে এখন তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদ এলেই কাজের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন। পুরুষের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদেরসহ নারিদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাকের চাহিদা বেড়ে গেছে আগের চেযে অনেক বেশি। এ কারণে দিনে সংসারের কাজ সামাল দিয়ে রাতে কাজ করতে হচ্ছে বেশি সময়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com