শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
হরতালের সমর্থনে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলেছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি : সংগৃহীত অনলাইন ডেস্ক:: রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে শিক্ষক নিয়োগে কোটা নয়, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ার দাবিতে ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল চলছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হরতালের সমর্থনে রাঙামাটি শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, দোয়েল চত্বরসহ ৮-১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এতে স্কুল-কলেজ ও চাকরিজীবীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। সপ্তাহের ছুটিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভিড় থাকে, চলমান হরতালে শহরে অবস্থানরত পর্যটকরাও বিপাকে পড়েছেন।
হরতালের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে। এতে রাঙামাটির সঙ্গে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি শহরের একমাত্র সিএনজি সার্ভিসসহ শপিংমলগুলোও কার্যত বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী ঐক্যজোটের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী ইব্রাহিম রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব হাসান, শিক্ষার্থী নুরুল আলম, রুবেল হোসেন, রেজাউল করিম রাজু ও ইমাম হোসাইন প্রমুখ।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদকে কোটাবৈষম্য বাদ দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর পরও কোনো ধরনের সমাধান মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েছি।
তারা আরও বলেন, সকল নিয়োগে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৭ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হলেও জেলা পরিষদের সেই কোটার বিধান না মেনে নিয়োগ পরীক্ষার শুরু করেছে। ফলে মেধাবীরা বঞ্চিত হবে। আমরা চাই সকল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ। কোটা প্রথার নামে বৈষম্য আর মেধা হত্যার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।
হরতাল চলাকালীন ২০ ও ২১ নভেম্বর জেলার সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।