মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন

যশোরে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন: ওই ক্যাম্পের এসআই প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক::

যশোরের শার্শা উপজেলা এলাকায় একটি মাদক মামলার আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধর্ষণের সাথে পুলিশ জড়িত না থাকায় পুলিশ সদস্যর নাম বাদ দিয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মহিলার ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শার্শার গোড়পাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল ইসলাম ও তার সোর্স কামারুলসহ ৪জনের বিরুদ্ধে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার রাতেই শার্শার লক্ষণপুরের কাদের, আব্দুল লতিফ ও কামরুজ্জামান ওরফে কামারুলসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে একজনের নামে মামলা দায়ের করা হয। আর ভুক্তভোগী মহিলার সামনে গোড়পাড়া ক্যাম্পের এসআই খায়রুল ইসলামকে আনা হলে তাকে চেনেন না এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত নয় বলে ওই নারী বক্তব্য দিলে মামলার এজাহারে পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়নি। এছাড়া এসআই খায়রুল ইসলাম গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩০ দিনের জন্য বিআইসি প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার রাতেই অভিযুক্ত কাদের, লতিফ ও কামারুলকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাহউদ্দিন সিকদার, সহকারি পুলিশ সুপার, (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ফকির আজিজুর রহমানকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন সিকদার জানান, যেহেতু পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করায় এবং তদন্ত কমিটিকে প্রভাবিত করতে না পারে তার জন্য এসআই খায়রুল ইসলামকে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় মাদক মামলার এক আসামীর স্ত্রী গৃহবধূর বাড়িতে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও তার সোর্স গিয়ে গৃহবধুর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৫৪ ধারার মামলা করে তার জামিনে সহায়তা করবেন বলে জানান। ফেনসিডিল মামলায় জেলহাজতে থাকা তার স্বামীকে কীভাবে ৫৪ ধারা দেবেন এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। একপর্যায়ে খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর তিনি ও কামারুল ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে এলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com