মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন

যশোরের আলোচিত প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে চুরির সাথে জড়িত আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক::

যশোর কোতোয়ালি থানার পেছনে প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৪জন জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে চুরি যাওয়া তিন ভরি সাত আনা সোনা উদ্ধার এবং এই চুরির সাথে জড়িত ৯ জনকে সনাক্ত করার দাবি করেছে পুলিশ।

আটককৃত চার জন হলো- আব্দুর রহিম বাদশা, সোহেল ওরফে মোটা সোহেল, উজ্জ্বল ও সুমন।

শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এডিশনাল এসপি গোলাম রব্বানী এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিম চট্টগ্রামের বহাদ্দারহাট থেকে ১১ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে আব্দুর রহিমকে এবং একই দিন সন্ধ্যা চট্টগ্রামের বাকলিয়া মোটা সোহেলকে আটক করে। পরে সোহেলের স্বীকারোক্তিতে তার বাসা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া নগদ দেড় লাখ টাকা ও চোরাই ৩ ভরি ৭ আনা সোনা উদ্ধার করে। পরে উজ্জ্বল ও সুমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে চুরির সাথে জড়িতদের নাম ঠিকানা জানায়।

তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে চুরির তিন মাস আগে কুমিল্লার দেবীদারপুর বানাহাঁস এলাকার সুন্দর আব্দুল আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্যদের নির্দেশ দেয়। এরপর চক্রের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিনিয়ত ওই জুয়েলার্স এবং শহরের পরিবেশ দেখতে থাকে। চুরির তিনদিন আগে জুয়েলার্সের মালিককে তারা অনুসরণ করতে থাকে। ঘটনার দিন চক্রের এক সদস্য মালিকের পেছন পেছন তার বাড়ির সামনে যায় এবং তার অবস্থান চক্রের অন্য সদস্যদের জানায়। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে চুরির সাথে ৯ জড়িত। এর মধ্যে চার জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য পাঁচজন হলো রুবেল, ছোট সুমন, বড় বাদশা, ছোট বাদশা এবং আব্দুল। চক্রের সাথে যশোরে কেউ জড়িত আছে কি না সে ব্যাপারে পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আটক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্সে ২৭ জুন বিকেলে সোনা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুয়েলার্সের মালিক অমিত রায় আনন্দ থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩৭ ভরি সোনা ও নগদ টাকা চুরির কথা উল্লেখ করা হয়। মামলাটির তদন্ত করেন যশোর ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com