শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:১২ অপরাহ্ন
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:: বৈধভাবে ইজারা নিয়ে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য প্রতিদিন এক লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলেছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের এক বালু ব্যবসায়ী। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে শনিবার সকালে ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তানভির আহমেদ নাগিব।
লিখিত বক্তব্যে তানভির আহমেদ নাগিব বলেন, চলতি বছরের ১৪ মে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ভৈরব উপজেলার আগানগর ও সাদেকপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনের ইজারা দেয় মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজকে। উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত সীমানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম মেনে বৈধভাবে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। নির্ধারিত নিয়মে রাজস্বও সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এসময় তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় গত মঙ্গলবার ভোরে ভৈরব সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ৪টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে দুজন শ্রমিককে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। এসময় শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। এছাড়াও দুই দিনের জমা এবং ড্রেজারের টাকা বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা। জাতীয় গ্রিড লাইন ও আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষিত সীমার ভেতরে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। নিয়ম ভঙ্গ করায় ড্রেজার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন ১ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবির বিষয়টি তিনি মিথ্যা বলে দাবি করেন।