বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন

মানুষের ঘুম কেন এতো জরুরি?

ছবি: প্রতীকী

লাইফস্টাইল ডেস্ক:: আপনি জানেন? প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৪ জন মানুষ ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। গবেষকেরা বলেন,‘‘জেনারেশন-জির ৪৬ শতাংশ অনিদ্রায় আক্রান্ত। এর মধ্যে আবার ৩৫ শতাংশ পর্যাপ্ত পরিমাণের তুলনায় অনেক কম ঘুমাচ্ছে’’। ঘুম হলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক।

পুরো ঘুম পরিচালিত হয় মস্তিষ্কের মাঝখান থেকে। আমাদের মস্তিষ্ক, চোখ, কান, ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সবচেয়ে জটিল প্রক্রিয়াগুলো ঘুম ছাড়া ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। অনিদ্রার প্রথম লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়, চোখের নিচে কালো দাগ। ঘুম কম হলে মানুষের ত্বকের কোষগুলো নিজেদের রিপেয়ার করতে পারে না। এ থেকে স্পষ্ট হয়, আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য সরাসরি ঘুমের সঙ্গে জড়িত।

স্লিপ ফাউন্ডেশন-এর তথ্য, ‘‘ঘুম মনোযোগ এবং একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এটি মস্তিষ্ককে স্মৃতি নিবন্ধন এবং সংগঠিত করতে সাহায্য করে।

ঘুমের আরেকটি প্রধান কাজ হলো- চোখের মেরামত করা। তাই ঘুম ঠিকমতো না হলে পরদিন দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। প্রতিটি চোখের পেছনে অপটিক নার্ভ রয়েছে, যা চোখের অংশ এবং এরা সরাসরি মস্তিষ্কের পেছনে অকসিপিটাল লোবের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এর মানে হলো চোখ ও মস্তিষ্ক একসঙ্গে কাজ করে দেখতে ও চিন্তা করতে।

ঘুম রেটিনার মাঝখানে অবস্থিত অপটিক নার্ভের সারকাডিয়ান রিদম রক্ষা করে। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব বডি ক্লক বা দেহঘড়ি রয়েছে। চোখের অপটিক নার্ভ প্রাকৃতিক আলো- অন্ধকারের সিগন্যাল পেয়ে, অর্থাৎ বাইরে কি এখন আলো নাকি অন্ধকার, সেই তথ্য মস্তিষ্কের মাঝখানে অবস্থিত হাইপোথ্যালামাসে পাঠায়। এখান থেকে সুপ্রাসিয়াসমেটিক বার্তা নির্গত হয়। এর কাজ হলো ঘুমের সারকাডিয়ান সাইকেলকে ঠিকমতো চালিয়ে নেওয়া।

ঘুমের হরমোন রাতের বেলা নিঃসরণ হয়। দিনের আলোয় এই হরমোন নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যায়। জাগার পর থেকেই আবার ঘুমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। জেগে থাকলে শরীরে অ্যাডিনোসিন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন করে। এই হরমোন নিঃসরণ হতে থাকলে ১৬ ঘণ্টা পর শরীর ঘুমে এলিয়ে পড়ে। যার অর্থ হলো আমাদের মানবজীবন পুরোটাই ঘুমের সঙ্গে জড়িত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com