বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
শরীরের বিভিন্নস্থানে কালশিরার দাগ। কেটে দেয়া হয়েছে মাথার চুল। নির্যাতনের আতঙ্কে মনে হতাশার কালোছায়া। স্বামীর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের এ অভিযোগ এক বিধবার। ৩১ মার্চ শনিবার বাঘায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলমের কাছে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করেন মর্জিনা নামের এই বিধবা। ৪দিন আগের ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র দেখে পুলিশকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে নির্যাতনকারিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। ওইদিন (শনিবার) রাতেই জহুরুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ বিষয়ে মর্জিনা বাদি হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সে বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মোজাম্মেলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর ষ্টেশন এলাকার চন্ডিগাছা গ্রামে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রায় ২ বছর আগে ১ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে মারা যায় মর্জিনার স্বামী ইছাহক মোল্লা। স্বামীর বসত ভিটায় ২সন্তান নিয়ে দর্জির কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করে। এর মাঝে স্বামীর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে কটু কথা শুনতে হয়েছে একাধিকবার। সর্বশেষ গত বুধবার (২৮-৩-১৮) পাশের বাড়ির জাহাঙ্গীর নামের একজনকে দিয়ে বাজার করানোর ঘটনা নিয়ে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু হয় মর্জিনার। এর এক পর্যায়ে মারধর করে অমানষিক নির্যাতন চালায়, দেবর,দেবরের ছেলে ও ননদের ছেলে। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মর্জিনার মাথার চুল কেটে দেয় তারা। সেখান থেকে লালপুর হাসপাতালে ভর্তির পর জ্ঞান ফিরে এলে মাথার চুল কাটার বিষয়টি জানতে পায়। আতঙ্কে ওই হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার পালিয়ে আসে পিতার নিজ বাড়িতে। পরে বাঘা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। শনিবার মন্ত্রীর কাছে অভিযোগের পর লালপুর থানায় মামলা করেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর জমি-জমার বিষয় নিয়ে দেবরের সাথে আগে থেকেই মনমালিন্য ছিল। সেই অজুহাতে অন্যকে দিয়ে বাজার করার বিষয় নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।