বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশের কণ্ঠ:: সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং সদ্য প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নির্দেশনায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিকমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মন্তব্য প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা
১। প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে,
২। প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে, অথবা
৩। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি মেনে চলবেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এবং এর আগে এইচএসসি খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
মাউশির নির্দেশনায় স্কুল ও কলেজ প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে, যেন পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি অনলাইনে ছড়িয়ে না পড়ে।
একজন মাউশি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত। তাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দায়িত্বহীন আচরণ প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনলাইন জগতে দায়িত্বশীল আচরণে অভ্যস্ত হন।