নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস পালিত

editor
1. ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ / ৬০২ জন দেখেছেন

আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ময়মনসিংহের ভালুকায় নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে ‘ভালুকা মুক্ত দিবস’ পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বুধবার (৮ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর নের্তৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় থেকে একটি বিজয় র‌্যালী বের হয়। র‌্যালিটি পৌর সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

এর আগে এফ.জে ১১ নং সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিন আহম্মেদ এর কবর জিয়ারত করেন। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু বেলুন উড়িয়ে মুক্ত দিবসের বিভিন্ন কর্মসুচীর শুভ উদ্বোধন করেন। পরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. শওকত আলী, সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, ভালুকা পৌর মেয়র ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান, আফছার উদ্দিন প্রমুখ।

ভালুকা মুক্ত দিবস উপলক্ষে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আফসার বাহিনীর নেতৃত্বে ৮ ডিসেম্বর ভালুকা মুক্ত দিবস, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর ৭ দিনের কর্মসুচী ঘোষনা করেন। কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে বিজয় মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও নাটক সহ বিভিন্ন অনুষ্টান মালা।

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর রাতে এফ.জে ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার উদ্দিনের নের্তৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভালুকার পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাম্প তিন দিক থেকে আক্রমন করে প্রচন্ড গোলা বর্ষন করে। সারারাত ব্যাপী গোলা বর্ষনের ফলে পাকহানাদার বাহিনী টিকতে না পেয়ে ওই রাতেই ভোর ৫টায় ভালুকা ছেড়ে পায়ে হেটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও পালিয়ে যাওয়ার সময় গফরগাঁও লামকাইল নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা চার দিক থেকে আক্রমন করে। ঐ যুদ্ধে বহু পাকসেনা নিহত হয়। পরে পাকবাহিনীর সৈনিকরা গফরগাঁও থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। প্রতি বছরই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ভালুকা মুক্ত দিবস পালন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন