বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল দু’টি আসনে শেষ মুহুর্তে ভোটের মাঠে বেশ উত্তাপ দেখা যাচ্ছে। তাই ভোট প্রদানের আগে উৎসাহ উদ্দীপনার কোন ঘাটতি নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র ৩ দিন। শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।
নড়াইল-১ ও ২ আসনের নৌকার দু’জন প্রার্থী তাদের অনুগত নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে পথসভা করছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভোটের মাঠের চিরাচরিত মিটিং-মিছিল অবিরাম চলছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়। একাদশের মতো দ্বাদশেও নড়াইল-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মাশরাফি। আর নড়াইল-১ আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। দু’টি আসনেই আওয়ামী লীগের ভোটের এককভাবে আধিপত্য রয়েছে। দেশের অনেক আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
তবে নড়াইলের চিত্র একেবারে ভিন্ন। নড়াইল-১ আসন থেকে বর্তমান এমপি কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে ১৯ ডিসেম্বর তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এর বাইরে এমপি মুক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাড. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. মিল্টন মোল্যা, তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী ও জাতীয় পার্টি- জেপির শামিম আরা পারভীন (ইয়াসমিন)। তবে তাদের কেউই আ’লীগ প্রার্থী মুক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে শক্তিশালী প্রার্থী নন বলেই মনে করেন সাধারণ ভোটাররা।
এদিকে নড়াইল-২ আসনে মাশরাফির প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সংবাদ সম্মেলন করে মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনিরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান। অসুস্থতার কারণে দেরিতে এসে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে মাশরাফি ভোটের প্রচার শুরু করেছেন।
নড়াইলের দু’টি আসনে নৌকাসহ সকল প্রার্থীরই ব্যাপক প্রচারণায় রয়েছে। নৌকার প্রার্থীরা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ভোট প্রর্থনা করছেন। নানা ধরনের আবেগ অনুভুতির কথা বলে সাধারণ ভোটারদের ভোট প্রদানে উৎসাহিত করছেন।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী কারাগারে। ভোট নিয়ে মন্তব্য করে কোন বিপদে পড়তে চাই না। কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্তে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা ভোট দেবে না, এ বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সফল প্রধানমন্ত্রী যাদেরকে যোগ্য মনে করেছেন তাদের নড়াইলের দু’টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছেন।
যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগার তারা শেখ হাসিনা মনোনীত এ দু’জন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। জামাত-বিএনপি চক্র এ নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া হবে না। তারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। মানুষ যাতে সাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে।