বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন

গৃহবধুকে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

নড়াইল প্রতিনিধি:: নড়াইলের কালিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে মুন্নি আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবারের দাবি। যৌতুক না পেয়ে মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে জামাই ও তার পরিবার। এ অভিযোগ করছেন মৃত মুন্নির বাবা মো. দুলাল মিয়া।

গতকাল সোমবার বিকালে সে বিষপান করলে চিকিৎসার জন্য কালিয়া হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। সে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের মো. মুরছালিন মোল্যার স্ত্রী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মুরছালিন পলাতক রয়েছে।

মুরছালিনের পারিবারিক সুত্র জানায়, গত প্রায় ৭ বছর আগে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার হুটকিয়া গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে মুন্নি ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টারিতে এক সাথে চাকুরী করতো। চাকুরীর সুবাদে মুরছালিনের সাথে তার পরিচয় ও মন দেয়া নেয়ার মাধ্যমে মুন্নি মুরছালিনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। করোনাকালীন সময়ে মুরছালিন স্ত্রীকে নিয়ে কলাবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে চলে আসে এবং সেখানেই বসবাস করছিল। কিন্তু মুরছালিনের পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেন নিতে রাজি না হওয়ায় পাবিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তারই জের ধরে সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে মুন্নি বিষপান করলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়। মুন্নির বাবা মো. দুলাল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, চাহিদামত যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়ে মুন্নিকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যাকান্ডকে ঢাকতে চাইছে জামাই ও তার পরিবার। মেয়ের লাশ দাফনের পর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com