বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
খুলনা ব্যুরো::
করোনা ভাইরাস রোধে সামাজিক দূরত্ব না মেনে মহানগরীতে চলাচলরত গণপরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার থেকেই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাস টার্মিনাল এলাকায় তদারকি শুরু করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সদস্যরা।
দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যরা নগরীর অভ্যন্তরীণ রূটগুলোতে চলাচলরত ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রা থেকে ৩ জনের অধিক যাত্রী নামিয়ে দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেন। এছাড়া সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটগামী পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যাপক তৎপরতা চালায় তারা।
গত ৩১ মে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস, আদালত, গণপরিবহন, বিপণী বিতান, হাট, বাজারে সাধারণ মানুষকে যাতায়াত ও কর্মকান্ড পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু খুলনার রাস্তায় ইজিবাইক ও মাহিন্দ্রায় চলাচলরত যাত্রী-চালক কেউই সামাজিক দূরত্ব না মানায় পুলিশ মাঠে নেমেছে। প্রতিদিনই এভাবে রাস্তায় পুলিশের তৎপরতা চলবে বলে কেএমপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া পরিবহনের মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, রুট সমিতিসহ বিভিন্ন নামে চলা চাঁদাবজি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেএমপি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে সাতক্ষীরা, পাইকগাছা, যশোর, বাগেরহাট, মোংলা, পিরোজপুরসহ অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলরত প্রতিটি বাস থেকে মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, রুট সমিতির নামের টাকা উত্তোলণ করা হয়। এ সকল চাঁদার টাকা উত্তোলন নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে নানা অসন্তোষ দেখা গেছে। প্রতিটি বাস থেকে ট্রিপ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, বর্তমানে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোন টাকা উত্তোলন করা হয় না। বাস চালুর পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে টাকা উত্তোলন করতে নিষেধ করা হয়। আমরা সেই নির্দেশনা মেনেই কাজ করছি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে বিশেষ নজরদারির বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, এ বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য মহানগর পুলিশ কাজ করছে।
এছাড়া পরিবহনে সকল প্রকার চাঁদা উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা কার্যকর করতে মাঠে পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।